বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সে পর করোনা ভাইরাসের (COVID-19) ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা (America)। চীনের এই মারণ ভাইরাসের ফলে আমেরিকার ভয়াবহ ক্ষতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুবার চীনকে দোষী সাবস্ত করেছন। এবার তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন করোনা ভাইরাসের কারণে তিনি এবার চীনের উপর বদলা নেবে। আমেরিকার এক জেনারেল সার্জেন জানিয়েছেন, ‘করোনার কারণে আমেরিকার এই দুঃসময় পার্ল হারবার বন্দরের হামলার থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর’।
আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবার চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে আমেরিকা। সরাসরি বুঝিয়ে দিল চীনের অবস্থা এবার শোচনীয় হতে চলেছে।
জাপান যখন আমেরিকার পার্ল হারবার বন্দরে আক্রমণ করেছিল, তখন আমেরিকার আধুনিক জাহাজ জাপান ধবংস করে দিয়েছিল। সেই সময় বিশ্বের আধুনিক থেকে আধুনিকতম জাহাজ ছিল আমেরিকার কাছে, যা অন্য কোন দেশের কাছেও ছিল না। সেই সময় হামলা করেছিল জাপান। যার দরুণ আমেরিকার প্রায় ৩ হাজার মানুষের প্রানহানি ঘটেছিল। এই আচমকা হামলায় মৃত্যদের মধ্যে ২৫০০ ছিলে নৌসেনা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা বদলা স্বরূপ জাপানে দুটো পরমাণু বোমা হামলা চালিয়েছিল। এবং জাপানকে সরাসরি বলেছিল, হয় আত্মসমর্পন কর, নয় তো আরও পরমাণু বোমা হামলা করা হবে। তখন বেগতিক দেখে জাপান সরকার আত্মসমর্পন করে নেয়।
জাপানের মতো একই অবস্থা এখন চীনের। তখন জাপানে চলছিল রাজার শাসন, আর বর্তমানে চীনে চলছে কমিউনিস্ট সরকার জিনপিং-এর শাসন। আগের মত সরাসরি পরমাণু হামলা না করলেও, আমেরিকা কিন্তু এখন তাঁর বদলা নিতে প্রস্তুত। মার্কিন সেনেটর বলছে, পার্ল হারবারের হামলায় মৃতের পরিমানের থেকেও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা বহুগুণ বেশি। কিন্তু অপরদিকে আমেরিকা আবার ছোট ছোট জিনিসের উপরও চীনের উপর নির্ভরশীল। আমেরিকার পতাকাও চীনে তৈরি হয়।
এমনকি সামান্যতম ওষুধ প্যারাসিটামলও চীন থেকে আমদানি করে আমেরিকা। তাই এই করোনা ভাইরাসের ঘটনার ফলে বোঝাই যাচ্ছে এবার আমেরিকা এবং চীনের ব্যবসায়িক সম্পর্কে অনেক বদল ঘটতে পারে। এবার থেকে সব দেশই নিজের আভ্যন্তরীণ ব্যবসার দিকে বেশি জোর দিতে চলেছে।