বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা দেশ করোনার আতঙ্কে ভুগছে। করোনাকে রোখার জন্য কেন্দ্র সরকার আর রাজ্যের সরকার গুলো একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর। কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনায় মোট আক্রান্তদের সংখ্যা ৭৪০০ পার করেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৯ জন এবং ৬০০ এর বেশি মানুষ এখনো পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে গোটা দেশে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। ২১ দিনের সময়সীমা পার হওয়ার আগেই উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে। আরেকদিকে উড়িষ্যার পর পাঞ্জাব সরকারও লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১ লা মে পর্যন্ত করেছে।
এবার উড়িষ্যা (Odisha) আর পাঞ্জাবের (Punjab) দেখানো পথে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও (Mamata Banerjee) রাজ্যে লকডাউনের (Lockdown) সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা নিয়ে জরুরী বৈঠক করে। আর ওই বৈঠকে লকডাউন নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। শোনা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কালকের মধ্যেই লকদাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন।
আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন। এদিনের নবান্নের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজ্যের সাথে গোটা দেশে বেড়ে চলেছে করোনার আতঙ্ক। আর এই আতঙ্ক এবং করোনার বিপদ কাটাতে লকডাউনই যে একমাত্র পথ সেটা বুঝে গেছেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলো।