বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। অফিস আদালত থেকে কলকারখানা বন্ধ রয়েছে সবকিছুই। এই সময় এই পরিস্থিতিতে মহিলা, প্রবীণ, দরিদ্র নাগরিক এবং কৃষকদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য এবং নগদ অর্থ সহায়তার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার।
সেইমতো এই লকডাউনের মধ্যে ৩০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে ২৮,২৫৬ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছেন কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় দরিদ্র মানুষেরা এই সহায়তা পান। সরকারের তরফ থেকে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজের অংশ হিসাবেই এই আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জন ধন যোজনার আয়ত্তায় নাগরিকদের ইতিমধ্যেই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এই জন ধন যোজনার আয়ত্তায় মোট অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে ৯,৯৩০ কোটি টাকা। প্রায় ২.২২ কোটি বৃদ্ধা, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যাদেরকে জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচিতে ১৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপভোক্তা এই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার করে নগদ টাকাও পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী-কিষানের আয়ত্তায় যারা পড়েন, তাঁদের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা ১৩,৮৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮ কোটি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা করে মোট ৬.৯৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, বলে জানা যায় অর্থমন্ত্রকের এক ট্যুইটের মাধ্যেম। প্রধানমন্ত্রীর কথামত ইতিমধ্যে দেশের ২ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন। আবার আগামী তিন মাসের জন্য উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওত্তাধীন ৮.৩ কোটি দরিদ্র মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাসের ব্যবস্থা করবে সরকার। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বিমার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আগেই প্রায় ২.১ কোটি নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য, যারা রাজ্য সরকার কর্তৃক পরিচালিত বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ফান্ড থেকে ৩,০৬৬ কোটি টাকা র্থ সাহায্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতাধীন নাগরিকদের জন্য এপ্রিল-জুনের মধ্যে ১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দান করার লক্ষ্যে রয়েছে সরকার।