বাংলায় টেস্টিং কীটের অভাব নেই, জানাল মেডিক্যাল বোর্ডের আধিকারিক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা। সামান্যতম রোগের সন্দেহেই পরীক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। এই নিয়ে বেশ কয়েক হাজার মানুষের ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বেশ কয়েক হাজার মানুষ।

mamat

করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় একটাই পথ লকডাউন। এবং তাই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায় মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০৯৫ জনকে। এবং মুখ্যমন্ত্রী জানান শনিবার অবধি ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০০। রাজ্যে যে পরিমাণে নাগরিক রয়েছে, তার তুলনায় টেস্টিং কিটের সংখ্যা অনেক কম। তাই মুখ্যমন্ত্রী টেস্টিং কিটের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানালে, কেন্দ্র থেকে রাজ্যের জন্য টেস্টিং কিটও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রাজনৈতিক তর্জা ভুলে গিয়ে, সব কিছুর উর্দ্ধে উঠে সব দল এখন একত্রিত হয়ে দেশবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করছে। টেস্টিং কিট প্রসঙ্গে কলকাতার আইসিএমআরের নোডাল বডির পরিচালক ডাঃ শান্তা দত্ত জানান, ‘বর্তমানে টেস্টের কিটের কোনও অভাব নেই। যে পরিমাণ টেস্টিং কিট আছে, তা দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে’।

CDC 2019 nCoV Laboratory Test Kit

কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের একাংশ মানুষ কোন নিয়ম নিধি না মেনেই বেরিয়ে পড়ছেন বাইরে। অবাধ যাতায়াত করছেন বাজারে। তাঁদের কারো মুখে মাস্ক নেই, আবার কেউ কেউ তো সামাজিক দূরত্বও মানছেন না। তাই তাঁদের উদ্যেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নবান্নের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্যেশ্যে ঘোষণা করলেন, এবার থেকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই পড়তে হবে মাস্ক। এবং ঘরে ফিরে ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানেটাইজার।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর