বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টানেলের (tunnel) ভেতর ঢুকলেই ওষুধ মিশ্রিত জল আসবে আপনার গায়ে। মারা যাবে সব জীবাণু। আপনি হবেন জীবাণুমুক্ত। দিল্লীর পর এই ধরণের জীবাণু নাশক টানেল তৈরি করা হল খোদ কলকাতায় (Kolkata)। কলকাতার এক প্রকার জনবহুল অঞ্চল নিউ মার্কেটে বসানো হল এই টানেল। প্রয়োজনে তা শহরের অন্যান্য প্রান্তেও বসানো হবে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই টানেল এখনও খোলা হয়নি সাধারণ মানুষদের জন্য। বিশেষজ্ঞদের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে সরকার।
করোনা ভাইরাসের প্রসার বৃদ্ধি হ্রাস করার জন্য সরকার বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেই চলেছে। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া যায়। এমনকি বাড়ানো হয় লকডাউনের সময়সীমাও। আগামী ৩ রা মে অবধি লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র সরকার। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। নাগরিকদের সফলভাবে এই লকডাউন পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে দেখা গেল কলকাতার নিউ মার্কেটে বসানো হল জীবাণু নাশক টানেল। যে টানেলের মধ্যে প্রবেশ করলে, ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে যাবে হাইড্রোজেন পেরক্সাইড মিশ্রিত জল। অর্থাৎ এই টানেলের মধ্যে যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তার শরীরে স্প্রে হবে হাইড্রোজেন পেরক্সাইড মিশ্রিত জল। কোন ব্যক্তি কিন্তু আগে থাকতে এই টানেলের মধ্যে থাকবে না। টানেলের মধ্যে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করলে, সেটা টানেলের সেন্সর ধরে নেবে। এবং আপনা থেকেই হাইড্রোজেন পেরক্সাইড মিশ্রিত জল মানুষের গায়ে ছড়িয়ে যাবে। মানুষটি পদ্ধতির মাধ্যমে জীবাণু মুক্ত হয়ে যাবে।
তবে এই জীবাণু নাশক টানেল এখনও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে না। তার কারণ হাইড্রোজেন পেরক্সাইড মিশ্রিত জল এই টানেলের মধ্যে থাকছে। কিন্তু হাইড্রোজেন পেরক্সাইড স্প্রে করলে মানুষের শরীরের ঠিক কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা বিশদে ক্ষতিয়ে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। এই টানেল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সম্মতি মিললেও, রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি এই ধরণের টানেল বসানো হবে।