বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক (Economic) বিপর্যয়। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের সরকার একই ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু তারা তাদের দেশের নাগরিকদের ভাল রাখার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে খেয়াল রাখা হচ্ছে তাদের খাবার সামগ্রী নিয়ে। কিন্তু এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের (pakisthan) গায়ে যেনো কোনো হাওয়াই লাগছে না। সূত্রের খবরে জানা গেছে, পাকিস্তানে যারা হিন্দু আছে ও খ্রিস্টান আছে তাদের বেছে বেছে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এবার এই খবর কানে যেতেই মার্কিন সরকারি সংস্থা গর্জে উঠলো, আর কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল সবাইকে ধর্ম নির্বিশেষে খাবার পৌছে দিতে হবে, আর সেটা করা না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে অণুরিমা ভার্গভ,(Anurima Vergab) যিনি আমেরিকার (America) আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার সংস্থার কমিশনার, তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মানুষ অনাহারের সাথে লড়াই করছে, সেখানে করোনার দাপট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু একটি খবর সামনে এসেছে যে, সেখানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। এটা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে খাবার সরবরাহ করতে হবে। এই নিয়ে পাকিস্তানের সরকারের সাথে কথা বলা হয়েছে, যাতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে খাবার সরবরাহ করা হয়।
একটি বেসরকারী সংস্থা পাকিস্তানে হিন্দুদের ও খ্রিস্টানদের খাবার দিতে অস্বীকার করেছে, তারা জানিয়েছে শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। এই কথা কানে যেতেই বলা হয়েছে এরকম বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। সে বিষয় নিয়ে আমেরিকা (America) কড়া জবাব দিয়েছে। যদি কথা না মানা হয় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে আগামীতে।
এভাবে খাবার নিয়ে ধর্ম ভিত্তিক বৈষম্য পাকিস্তানে যেন আর না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করল আমেরিকা। সংস্থার আরেক কমিশনার জন মুরি বলেন, “ইমরান খান একজন উন্নয়নশীল দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হিসেবে অনাহার এবং করোনা দুইয়ের সঙ্গেই লড়াই চালাচ্ছেন। তিনি লড়াইয়ের রাস্তা দেখাচ্ছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সংখ্যালঘুরা যেন অবহেলিত না হয়।