বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মোরাদাবাদের (Moradabad) মেডিকেল টিম আর পুলিশকর্মীদের উপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনার পর যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath) অ্যাকশন মুডে এলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, স্বাস্থ বিভাগের ডাক্তার আর কর্মী, সাফাই কর্মী, করোনার বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্ত আধিকারিক আর কর্মচারী, সুরক্ষায় থাকা পুলিশ কর্মীরা এই দুর্যোগের সময় দিনরাত এক করে কাজ করছেন। এদের উপর হামলা জঘন্য অপরাধ, এর তীব্র নিন্দা জানাই।
উনি বলেন, এমন দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ আইন আর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের দ্বারা করা রাজকীয় সম্পত্তির লোকসানও তাঁদের থেকেই নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন যেন এরকম উপদ্রবিদের শীঘ্রই চিহ্নিত করে আর প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার সাথে সাথে এরকম উপদ্রবিদের বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মোরাদাবাদের (Moradabad) নাগফনির নবাবপুরা মসজিদ হাজী ন্যাব এলাকায় করোনা সন্দিগ্ধ মানুষের খোঁজে যাওয়া ডাক্তারদের টিমের উপর হামলা করে এলাকাবাসী। ডাক্তারদের উপর পাথর ছোঁড়া হয়। এই হামলায় অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের দুই গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই হামলায় এক ডাক্তার সমেত তিন পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে এসপি আর ডিএম পৌঁছে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে।
Moradabad: Some people pelted stones at medical team&police which had gone to take a person possibly infected with #COVID."When our team boarded ambulance with patient,suddenly crowd emerged&started pelting stones.Some doctors are still there.We are injured,"says ambulance driver pic.twitter.com/Rpo5jDRuJY
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) April 15, 2020
এই ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সে থাকা স্বাস্থকর্মীরা জানান, তাঁরা যখন করোনা সন্দিগ্ধকে নেওয়ার জন্য সেখানে যায়, তখন আশেপাশের মানুষ একত্রিত হয়ে পড়ে। তাঁরা অভিযোগ করে যে, কোয়ারেন্টাইনে রোগীদের খাওয়ার দেওয়া হয়না। সেখানে উপস্থিত থাকা চারজন পুলিশ কর্মী তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ভিড় তাঁদের কথা না শুনেই তাঁদের উপর পাথর দিয়ে হামলা শুরু করে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে তির্থাঙ্কর মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে জামাতে অংশ নেওয়া এক ৪৯ বছর বয়সী করোনা সংক্রমিত ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এরপর স্বাস্থ বিভাগের টিম বুধবার ওই ব্যাক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর জন্য সেখানে গেছিলেন। যখন স্বাস্থকর্মীরা সেখানে পৌঁছায়, তখন আশেপাশের মানুষ সেখানে একত্রিত হয়ে বলে যে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাওয়ার দেওয়া হয়না। আমরা আমাদের লোকেদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাব না।
এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ তাঁদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু খিপ্ত জনতা কোন কিছুই বুঝতে না চেয়ে পুলিশ এবং স্বাস্থকর্মীদের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দেয়। উত্তেজিত জনতার ছোঁড়া পাথরে একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও একজন ডাক্তার সমেত তিন পুলিশকর্মী আহত হন।