বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এটাতে কোন সন্দেহ নেই যে, ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানো লকডাউনের কারণে ভারতের গরিব শ্রেণীর মানুষ সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে। আর এই সমস্যা মেটাতে প্রতিটি রাজ্য সরকারের উচিৎ তাঁরা নিজেদের রাজ্যে গরিব মানুষদের বিশেষ করে খেয়াল রাখতে। বেশিরভাগ রাজ্য এটা করছেও। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থেকে উঠে এলো অন্যরকম একটি চিত্র।
সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে খাবারের দাবিতে ধর্না দিয়েছেন। যদিও তাঁরা এই প্রতিবাদে কোনরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন নি। মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের শেষ দিনে ডোমকল থেকে এই দুর্বিষহ চেহারা সামনে আসে। সেখানে প্রায় ৪০০ পরিবার ৩ ঘণ্টার জন্য রাস্তা জ্যাম করে সরকারে বিরুদ্ধে বিরোধ প্রদর্শন করে। তাঁদের দাবি একটাই, কাজ নেই খাবার চাই। স্থানীয় প্রশাসন এই মামলায় হস্তক্ষেপ করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখনীয়, এর আগে মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, রাজ্যে খাদ্য দ্রব্যের কোন অভাব নেই। সরকারের ভাণ্ডারে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য দ্রব্য মজুত আছে। এমনকি প্রথম পর্জায়ের লকডাউনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানও বলেছিলেন যে, দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। তাই অযথা কেও কোন গুজবে কান দিয়ে বাড়িতে খাবার মজুত করবেন না।
রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের কাছে এখনো ৯.৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। এছাড়াও আরও ৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাল স্টোরে মজুত আছে। উনি এও জানিয়েছিলেন যে, আমাদের সরকার সোজাসুজি কৃষকদের কাছ থেকে চাল কিনছে তাই কৃষকদেরও ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই। কিন্তু ওনার এই আশ্বাসের পরেও মুর্শিদাবাদের ডোমকোলে মানুষের ঘরে রেশন না যাওয়া উঠছে প্রশ্ন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, ডোমকলের পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহাদেব দাস অভিযোগ করে জানান, ‘আমাদের এলাকার রেশন ডিলার দুলাল সাহা গত দুই সপ্তাহে পরিবার পিছু এক কেজি করে চাল দিয়েছে। এটা পরিবারের ৪-৫ সদস্যের জন্য পর্যাপ্ত না।” উনি বলেন, আমাদের এলাকার বেশীরভাগ মানুষ এই রাজ্য এবং অন্য রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। লকডাউনের কারণে আমাদের জীবিকা চলে গেছে। উনি বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল যে, কেন্দ্র আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা সেটা পাচ্ছি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও সত্যতা যাচাই করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।