বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলে। ভারতের থেকে ওষুধের সাহায্য চেয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনা ভাইরাসের সাময়িক প্রতিরোধক হিসাবে ভারতের থেকে প্যারাসিটামল (Paracetamol) চেয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আর তাই প্রথম দফা হিসাবে ২৮ লক্ষ প্যাকেটের প্যারাসিটামল ব্রিটেনে পাঠাল ভারত সরকার।
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও সংক্রমিত হয়েছিলেন। গুরুতর অবস্থায় ICU -তে কিছুদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এই মারণ রোগকে কাবু করে সেরে উঠেছেন তিনি। আর তারই মধ্যে ভারতের থেকে এই রোগের প্রতিরোধ করার জন্য প্যারাসিটামল চেয়েছিলেন। ভারত সরকার তার অনুরোধ স্বীকার করে নিয়ে ব্রিটেনে ২৮ লক্ষ প্যাকেটের প্যারাসিটামল পাঠাল। প্রথম ভাগে এই পরিমাণ ওষুধ পাঠান হল। প্রয়োজন হলে আরও পাঠাবে ভারত। আর তাতেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল মোদীজির প্রশংসা।
ভারতের থেকে এই ওষুধ পেয়ে ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রসের বলেন, ‘এই ওষুধটি করোনার প্রতিরোধের জন্য আমাদের এখানে সুপারমার্কেট এবং খুচরা ওষুধের দোকানে নেওয়া হবে। এর ফলে ব্রিটেনের ওষুধের দোকানে আরও প্রায় তিন মিলিয়ন প্যাকেট প্যারাসিটামল পাওয়া যাবে। বিগত কয়েক দশকে আমরা সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছি এখন। তাই এখন আমাদের সকলকে একত্রিত হতে হবে’।
সম্প্রতি আমেরিকা করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন চেয়েছিল ভারতের কাছে। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়ে ওষুধের উপর থেকে রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে শুধুমাত্র আমেরিকাই নয় এরও বেশ কয়েকটি দেশকে সাহায্য করছে। এছাড়াও মালয়েশিয়া থেকেও ভারতের কাছে ওষুধের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়। ভারত তাঁদের কথাও রাখে। তবে তাঁদের দাবী মতো বেশি পরিমাণের ওষুধ না পাঠিয়ে বর্তমানে অল্প পরিমাণে ওষুধ পাঠিয়েছে। এছাড়াও ভারতের থেকে ওষুধের সাহায্য চেয়েছে প্রতিবেশি শত্রু দেশ পাকিস্তান। সবশেষে ভারতের কাছে ওষুধের জন্য হাত পাতল পাক সরকার ইমরান খান। তবে পাকিস্তানকে ওষুধ পাঠানো নিয়ে ভারত এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।