বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। এরই মধ্যে ফ্লিপকার্ট(flipkart), অ্যামাজন(amazon) এবং পেটিএম মলের মতো অনলাইন খুচরা সংস্থাগুলি 20 এপ্রিলের পরে তাদের ব্যবসা চালু করবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ধরনের পরিষেবা বন্ধ থাকায় অসুবিধা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের যার জেরেই ২০ এপ্রিলের পর এই পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এখনো এই বিষয়ে তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না, কেন্দ্র সরকারের তরফে এখনো কোনো সরকারি নির্দেশিকা আসে নি। তবে, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি গাইডলাইন জারি করেছে। যাতে কিছু পরিষেবাকে শর্তাধীন ছাড় দেওয়া হতে পারে ২০ এপ্রিল এর পর। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই পরিস্থিতিতেই এই ই কমার্স সাইট গুলি মনে করছে যে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এই ছাড় পাওয়া যাবে। সেই জন্যই এই প্রস্তুতি বলে জানা যাচ্ছে।
লকডাউন সময়ে নরেন্দ্র মোদী বেশ কয়েকটি কাজ করতে বললেন দেশবাসীকে, ‘সাত বাতো মে আপকা সাথ’। যেগুলো হল-
১) এই সময় বাড়িতে যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি থাকে, তাহলে তার সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। তাঁদেরকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
২) লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের লক্ষণ রেখা মেনে চলতে হবে। ঘরে তৈরি মাস্ক বা যেকোনো ধরণের কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৩) শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য চিকিৎসকরা যা পরামর্শ দিচ্ছেন, তা মেনে চলতে হবে। গরম জল বা চা সবসময় পান করুন।
৪) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অন্যদেরও এই অ্যাপ ব্যবহার করতে বলতে হবে।
৫) যতটা সম্ভব গরীব পরিবারদের সাহায্য করতে হবে। তাঁদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করুন।
৬) ব্যবসা ক্ষেত্রে মানবিকতা দেখাতে হবে। কোন ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।
৭) দেশের করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ, চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী, পুলিশ কর্মী সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তাঁদের কথা মেনে চলতে হবে।,