বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রাথমিক গিনিপিগ (Guinea pig) হতে চলেছে পাকিস্তানবাসী (Pakistan), প্রস্তাব চীনের। গত বুধবারই এই প্রস্তাব পাকিস্তান সরকারকে দেওয়া হয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। বন্ধু দেশের নাগরিকদের চীন এবার গিনিপিগের ন্যায় ব্যবহার করতে চাইছে।
সমগ্র বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের (COVID-19) ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা জোরকদমে লেগে পড়েছে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্যে। এরই মধ্যে বুধবার চীনের বিখ্যাত এক ফার্মা কোম্পানি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথকে এক প্রস্তাব স্বরূপ পত্র পাঠায়। চীন জানিয়েছেন, এই করোনা ভাইরাসের ক্লিনিকাল ট্রায়ালটা তারা পাকিস্তানের যৌথভাবে সাথে করতে চায়। অর্থাৎ তারা তাঁদের ভ্যাকসিন টেস্ট পাকিস্তানবাসীর উপর প্রথম করতে চায়। পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় পত্রিকা ডন-এ এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তবে পাকিস্তান চিকিৎসকরা এই বিষয়ের সত্যতা গোপন করেনি। তারা এই বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, এই বিষয়ে তারা এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এই কাজটি হলে ভালই হবে বলে মনে করছেন তারা। তাতে করে পাকিস্তানবাসীর উপকার হবে বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগের বিষয়ে চিনি সংস্থা, ভ্যাকসিন তৈরির বিষয় এবং তা আদেও গণহারে ব্যবহার যোগ্য হবে কিনা, তা জানায়নি।
চীন প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানবাসীর উপর প্রয়োগ করে দেখতে চাইছে, এই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা। আদৌ রাদের তৈরি ভ্যাকসিন কাজ করছে কিনা। সার কথা হল, তারা এখন পাক নাগরিকদের গিনিপিগের ন্যায় ব্যবহার করতে চাইছে। এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগের কারণেই এখন চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে।
যদি এই ভ্যাকসিন কাজ করে যায়, তাহলে বিশ্বের কয়েক লক্ষ মানুষ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসবে। পৃথিবীতে আবার সবকিছু আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে। জীবনযাত্রা আবার আগের মতো চলতে শুরু করবে। তবে এখন একটা প্রশ্ন উঠে আসছে, নিজের দেশে বিশাল জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও চীন কেন পাকিস্তানবাসীর উপর এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে চাইছে? এর পিছনে চীনের কি অভিসন্ধি রয়েছে?