বাংলা হান্ট ডেস্ক: চীনের উহান থেকে আগত করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেছে প্রত্যেকটি বিশ্ববাসী। বিশ্বের সমস্ত উন্নতশীল দেশ গুলিও হিমশিম খাচ্ছে করনা ভাইরাসের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য। করোনা ভাইরাসের থাবায় ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রচুর প্রচুর মানুষের।
অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও প্রবেশ করেছে এই মারণ ভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে গত 24 শে মার্চ থেকে গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সিদ্ধান্তে তার পাশে রয়েছে প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার।
প্রথম দফার লকডাউন উঠে যাওয়ার কথা ছিল 4 এপ্রিল তবে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে লকডাউন এর সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় 31 শে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও অব্দি এতটাই জটিল যে ফের লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে, ২১ শে মে পর্যন্ত চলতে পারে লকডাউন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পেশার মানুষেরা যেমন ডাক্তার, পুলিশ, নার্স,হাসপাতালের কর্মী এবং সাংবাদিকরা। অন্যান্য পেশায় যুক্ত মানুষদের কথা বারবার বলা হলেও সাংবাদিকরা কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। অথচ সাংবাদিকরাই হলো গণতন্ত্রের স্তম্ভ।
তাদের জন্যই ঘরে বসে প্রত্যেকটি মানুষ দেশের সব খবর পেয়ে যাচ্ছেন সে কারণেই এবার সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ালেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
সম্প্রতি তিনি বলেন,এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের ধরা পড়ছে করোনা। ইতিমধ্যেই মুম্বাইতে 30 জন সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। রনজয় রায় নামক বাংলার প্রখ্যাত চিত্রসাংবাদিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন করোনার থাবায়। সে কারণেই উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘোষণা করেন, “করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও সাংবাদিক মারা গেলে তার পরিবারকে এককালীন 15 লক্ষ টাকা দেয়া হবে। কারণ সাংবাদিকরাই হলো গণতন্ত্রের স্তম্ভ। এমন পরিস্থিতিতে তাদের কথা কিছুতেই ভোলা যাবে না।”