বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির (Oxford University) এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিষেধকের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় সব দেশের গবেষকরাই এই সময় একজোট হয়েছেন। যেভাবেই হোক মানবজাতিকে চরম বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আর তাই দিন—রাত এক করে গবেষকরা কাজ করছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের (corona virus) প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ চলছে জোরকদমে। ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্টের তত্ত্বাবধানে একটি দল কাজ করছে সেখানে। সেই দলে রয়েছেন দুজন বাঙালি বিজ্ঞানী। সুমি বিশ্বাস (Sumi Biswas) এবং চন্দ্রা দত্ত (Chanda Dutta)। ১৫ জনের যে দলটি করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছে সুমি ও চন্দ্রা তারই সদস্য।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিষেধকের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। আর তাই ১৫ জনের এই দলের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। সুমি বিশ্বাস একজন ইমিউনোলজিস্ট। বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে ব্রিটেনে যান তিনি। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনে এক বছর কাজ করার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন তিনি। বছর সাতেক আগে জেনার ইনস্টিটিউটে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন সুমি বিশ্বাস। জেনার ইনস্টিটিউট—এর ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক আবিষ্কারক গবেষণাদলের শীর্ষে রয়েছেন তিনি। এছাড়া অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অন্তর্গত স্পাইবায়োটেক—এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার তিনি।
চন্দ্রা দত্তের বাড়ি টালিগঞ্জের গলফ গার্ডেনে। হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিতে বিটেক করার পর ২০০৯ সালে ব্রিটেনে যান তিনি। এর পর লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োসায়েন্সে (বায়োটেকনোলজি) এম এসসি করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি—র ক্লিনিকাল বায়োম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটিতে যোগ দেন। তাঁর দায়িত্ব ভ্যাকসিন তৈরির গুণগত মানের দিকে নজর রাখা। কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স—এর বিষয়টি সুনিশ্চিত করাই কাজ চন্দ্রার। করোনার ভ্যাকসিন কবে নাগাদ আসতে পারে বাজারে! চন্দ্রা বলেছেন, যতদূর জানি, ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হবে। ট্রায়াল শেষ হলেই যাতে ভ্যাকসিন বাজারে পৌঁছানো যায়।