বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) করোনা (COVID-19) আক্রান্ত ব্যক্তির উপর প্লাজমা থেরাপি (Plasma therapy) প্রয়োগেও মিলল না ফল। প্রথম ট্রায়ালেই প্রাণ হারালেন চিকিৎসাধীন ব্যক্তি। কেরলে প্রথম এই থেরাপি ফল মেলার পর, দিল্লীতে করা হয়েছিল প্রয়োগ। আর তাতেই সাফল্য মেলার পর ভারতের সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের রাজ্য মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তির উপর করা হয়েছিল এই পরীক্ষা। কিন্তু কোন ফল মেলার আগেই ২৯ এপ্রিল রাতে মহারাষ্ট্রের লীলাবতী হাসপাতালে প্রাণ হারালেন ওই বছর ৫০ -এর করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।
করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্ব এখন আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। গবেষকরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য। তবে এরই মধ্যে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্লাজমা থেরাপি হল, কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর তাঁর শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে অন্য করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করলে, আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাবেন। বিদেশে এই থেরাপি প্রয়োগের পর ভারতেও এই পদ্ধতির ট্রায়াল চালু করা হয়েছিল।
কেরালায় প্রথম ট্রায়ালের করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লীতে এই পদ্ধতর প্রয়োগ করা হয়েছিল। এবং তাতেও সাফল্য মেলার পর মহারাষ্ট্রের এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির উপর এই পদ্ধতির ট্রায়াল শুরু করা হয়েছিল। ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবথেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থাকায়, সেখানেই এই কাজ কররা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আশার আলোর দেখার মিললেও, ক্ষণিকের মধ্যে তা বিলিন হয়ে গেল। মারা গেল মহারাষ্ট্রের প্রথম করোনা আক্রান্তের প্লাজমা ট্রায়ালের ব্যক্তি। ৫০ বছররে ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ২৯ এপ্রিল রাতে মহারাষ্ট্রের লীলাবতী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
এই প্লাজমা অতি প্রাচীন এক চিকিৎসা পদ্ধতি। সার্স, মার্স এবং ইবোলার মতো ভয়ঙ্কর মহামারীতে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেই কারণে করোনার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তবে সব জায়গায় এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হচ্ছে না। সেসব জায়গায় সরকারের অনুমদন রয়েছে, সেখানেই প্রয়োগ করা হচ্ছে।