বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টেসলার সিইও ইলন মাস্ক (Elon Musk) তাঁর ছেলের নাম রেখেছেন বড্ড অদ্ভুত। তাই নিয়ে জল্পনা শুরু সারা বিশ্বে। এমনকি খোদ টুইটার সেই নামের পিছনে কারণ খুঁজতে বসেছিল। তবে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। খোদ বাবা তাঁর ছেলের নাম এমন রাখার কারণ জানালেন।
ইলন তাঁর ছেলের নাম রেখেছেন X Æ A-12 মাস্ক। আর এই নাম দেওয়ার পরেই নেট দুনিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। ইলনকে নিয়ে মিম বানাতে শুরু করে সকলে। কেউ উচ্চারণই করতে পারছিল না এই নাম। শেষমেশ ইলন নিজে সমস্ত জল্পনা দূর করলেন।
https://twitter.com/Grimezsz/status/1257836061520101377
বয়স মোটে ৪ দিন। ‘শত্রুতা’ করে বাবা নাম রেখেছেন এক্স Æ এ-১২। তা আবার বড় মুখ করে জানাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে এ নিয়ে মিম আর অনলাইন জোকে। তার মধ্যে চলছে অদ্ভুত এই নাম উচ্চারণের চেষ্টা। শেষমেষ ওই উদ্ভট নামের শিশুর বাবা এলন মাস্কই জানিয়ে দিলেন, ঠিক কীভাবে ডাকতে হবে তাঁর ছেলেকে।
এক সাক্ষাৎকারে স্পেসএক্স সিইও এমল এমন নাম রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, আবার উচ্চারণও বলে দিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এমন নাম উচ্চারণ করবেন কী করে? এটা কি আপাতত রাখা হয়েছে, পরে পাল্টে দেওয়া হবে? এলন বলেন, মোটেই না। আর উচ্চারণ শিখিয়ে দেন এক্স অ্যাশ এ টুয়েলভ। তারপর অক্ষর ধরে ধরে অর্থ ব্যাখ্যা করেন। এলন বলেছেন, এই নাম তিনি রাখেননি, রেখেছেন তাঁর বান্ধবী, সদ্যজাতর মা গায়িকা গ্রাইমস। এক্স হচ্ছে ইংরেজি অক্ষর, সকলেই জানি। Æ কিছু ভাষায় ব্যবহৃত হয়, যেমন ড্যানিশ ও নরওয়ের ভাষা। উচ্চারম হবে হয় অ্যাশ, নয় এই। এ-১২ মাস্ক নিজে রেখেছেন, তাঁর অন্যতম বিমান আর্কঅ্যাঞ্জেল ১২-এর নামে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে উচ্চারণ দাঁড়াল এক্স-অ্যাশ-এ-টুয়েলভ।
প্রসঙ্গত, ‘আর্চেঙ্গেল ১২’ একটি স্পাই প্লেন। যেটি ১৯৬০ সালে CIA এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যদিও প্লেনটি কোনও অস্ত্র বহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। এটি সেই সময় আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও মিশন পরিচালনা করতে কিংবা মিশন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হত।
তবে নাম যাই হোক, মাস্ক কিন্তু স্কুলের খাতায় ছেলের এই নাম রাখতে পারবেন না। বেআইনি না হলেও এই নাম সিদ্ধ নয়, জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের আইনজীবী ডেভিড গ্লাস (David Glass)। ক্যালিফোর্নিয়ায় ইংরেজি ভাষার ২৬টি অক্ষরের মধ্যে থেকেই শিশুর নাম বাছতে হয়। তাই নামে সংখ্যা, রোমান হরফ, ইমোজি বা অন্য কোনও প্রতীক ব্যবহার করা সম্ভব নয়। যদিও অ্যাপোস্ট্রফি চলে যেমন ও’কোনোর। তাই এমন উদ্ভট নাম নিয়ে জোরাজুরি করতে গেলে শিশুটি বার্থ সার্টিফিকেট নাও মিলতে পারে।