বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কুটনৈতিক ভাবে কুলভূষণ যাদবের মামলার নিষ্পত্তির জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কথা শুরু করল ভারত। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে ব্যক-চ্যেনেলিংয়েরও একটি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ রা মার্চ কুলভূষণ যাদবকে প্রেফতার করার দাবি করে এসেছে পাকিস্তান। রবিবার পাকিস্তান (Pakistan) বলেছিল যে কুলভূষণ যাদব (Kulbhushan Yadav) মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত বিচারের (আইসিজে) বিধি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেছে। এক্ষেত্রে ভারতের (india) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভের বক্তব্যের পরে পাকিস্তানের বক্তব্য এসেছে, তাতে সালভ বলেছেন যে পাকিস্তান আইসিজে আদেশ মানেনি।
সালভ বলেছেন, পাকিস্তান এখনও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আমাদের এফআইআর এবং চার্জশিটের একটি অনুলিপিও দেওয়া হয়নি। বারবার বলার পরেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও প্রমাণ সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই এখন আমরা বিবেচনা করছি যে আমাদের আবার আইসিজে যেতে হবে কিনা।
একই সাথে সালভে লন্ডনে অনলাইনে কথা বলেছিলেন, “আমরা আশা করেছি যে আমরা তাদের পাকিস্তানের” পিছনের দরজা “কথা বলতে রাজি করব। আমরা মানবতার ভিত্তিতে যধবকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলছিলাম। তবে, এটি ঘটেনি। তিনি কুলভূষণকে তাঁর খ্যাতির বিষয় হিসাবে তৈরি করেছেন। ”
এদিকে পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ভারতীয় নাগরিক তথা প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যাক-চ্যানেল থেকে সরকারকে বোঝানোর প্রচেষ্টা চলছে। আর এই কাজে অংশ নিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন সলিসিটার জেনারেল হরিশ সালভে।
পাকিস্তান বলেছিল – ভারত মিথ্যা অভিযোগ করেছে
সালভের এই মন্তব্যের পরে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আইশা ফারুকী বলেছিলেন, “ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে ভারতের পরামর্শের বক্তব্য নোট করা হয়েছে।” সালভ আইসিজে-র দরজায় কড়া নাড়ানোর কথা বলেছে, এমন কিছু বলেছে যা সত্যের পরিপন্থী। পাকিস্তানের এই মামলায় আইসিজে-র সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেনি এমন ভারতের পরামর্শের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করি। পাকিস্তান সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেছে এবং বিষয়টি যতই এগিয়েছে ততই তা অনুসরণ করতে থাকবে।
আইসিজে ঝুলন্ত অবস্থায় পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে
কুলভূষণকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৭ সালে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, কুলভূষণকে শুনানিতে তার মামলা উপস্থাপনের জন্য কাউন্সেলরও দেওয়া হয়নি। ভারত এর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালেই আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করেছিল। জুলাই ২০১৯ সালে, আইসিজে পাকিস্তানকে যাদবকে ফাঁসি না দেওয়ার এবং এই সাজাটির পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। কাউন্সেলর দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তার পর থেকে পাকিস্তান এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে গতবছরের ২ সেপ্টেম্বর কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়া (Gaurab Aluwalia)। সেই সাক্ষাতের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে বলে, আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, কুলভূষণের উপর পাকিস্তান যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার