বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিনের শুরুতে রোদের ছটা দেখা গেলেও, আবহাওয়ার (Weather) পরিবর্তনের কারণে বিকালের দিকে ঘনিয়ে আসছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। মে মাসের শুরু থেকেই এমনটা দেখচ্ছে বাংলার মানুষজন। আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে আসছে প্রবল কালবৈশাখী, সতর্ক থাকার বার্তা দিল আবহাওয়া দফতর (Weather office)।
কালবৈশাখী সৃষ্টির কারণ
বাংলাদেশ, হরিয়ানায় জোড়া ঘূর্ণাবর্ত উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হয়ে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দেশগুলোতে। পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গের কয়েকটি জেলার পাশপাশি মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা রাজ্যবাসী, এবার ভিজবে বৃষ্টিতে। সন্ধ্যের দিকে প্রায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকাল রোদ ঝলমলে,প্যাচপ্যাচে গরম আবহাওয়া থাকলে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবছা হতে শুরু করবে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যের দিকে আকাশ মেঘলা হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান দিল হাওয়া অফিস।
প্রবল গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সংকেত
আবার, আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামা করবে। যার দরুণ তাপমাত্রা বাড়বে , আবার কমবেও। একটানা বেশি গরম পড়বে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। এই বিষয়টাও কিছু প্রকাশ পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, আবার ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে।
মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে বৃষ্টির পূর্ভাবাস
মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবারে বর্ষা ঢুকবে সঠিক সময়ে। দক্ষিণ -পশিম মোয়সুমি বায়ুর প্রভাবে এবছর বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। স্বাভাবিক সময়েই হবে এই বৃষ্টি। এতে করে কৃষি কাজেও খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কৃষকদের জন্যও এল সুখবর। এর পাশাপাশি জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করবে। এবং তারপর তা পানজিম, পুনে ও মুম্বই হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।