বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও মানবিকতার নজির। করোনাভাইরাস (corona virus) মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি সংবেদনশীল দূরত্ব বাড়িয়ে তুলছে। তবে অনেকে এই মহামারীর সময়ে সবার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সহায়তার জন্য এগিয়ে এসছেন। কর্ণাটকের (Karnataka)তুমকুরুতেও এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে একটি ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন, তবে পরিবারের সদস্যরা লকডাউনে শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে গুরুজনদের মুসলিম প্রতিবেশীরা পুরো হিন্দু রীতিতে শেষকৃত্যটি করলেন।
ইংরেজি পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’-এর খবরে বলা হয়েছে, বিষয়টি তুমকুরুর কেএইচবি কলোনিতে ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে করোনার সংক্রমণ হয়েছে জানার পরে কলোনিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। একই কলোনীতে বসবাসরত পেশায় দর্জি নারায়ণ রাও (৬০)। মঙ্গলবার রাতে মারা যান তিনি। তার ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ ছিল। করোনার কারণে কলোনীটি পুরোপুরি সিল করা হয়েছিল এবং লকডাউনের কারণে পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছেয়াস্তে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসলিম ছেলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।
মোহাম্মদ খালিদ বলেছেন, ‘আমার বন্ধু পুনেত রাওয়ের বাবা নারায়ণ রাও মারা গেছেন। আমি এই সম্পর্কে জানতে পারার সাথে সাথে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। মৃতের বাড়িতে ছোট ভাই, দুই মহিলা এবং ভাগ্নে ছিল। আমরা তাদের শেষ রীতি পূর্ণ রীতিনীতি সৎকার করার আশ্বাস দিয়েছিলাম।
খালিদ বলেন, ‘আমার বন্ধু ইমরান পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসাবে ৫০০০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তবে করোনার ভাইরাসের আশঙ্কায় মৃতের পরিবার শেষকৃত্য করতে চায়নি। আমরা তাদের শ্মশানে যেতে বলেছি। এর পরেও পরিবারের সদস্যরা শ্মশানে যেতে প্রস্তুত ছিলেন না। আমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ নিয়ে নি এবং শ্মশানে যাই। সেখানে পূর্ণ হিন্দু আচারের সাথে শেষকৃত্য শেষ করি। একই সাথে, নারায়ণ রাওয়ের পুত্র পুনেত বলেন, ‘আমার মুসলিম ভাইরা এই কঠিন সময়ে তারা যে সাহায্য করেছে তার জন্য আমি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব।’