বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার লক্ষণ নিয়ে ভুগছিলেন এক বৃদ্ধা। চিকিৎসার জন্য ওনাকে আনা হচ্চিল হাসপাতালে। কিন্তু মাঝ রাস্তাতেই প্রাণ হারান তিনি। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে মৃত বৃদ্ধার লালারস নমুনার জন্য পাঠানো হয় কলকাতায়। কিন্তু পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনো আসেনি সেই রিপোর্ট।
আর রিপোর্ট না আসার কারণে পাঁচদিন ধরে মৃতদেহ আগলে বসে আছে পরিবার। রিপোর্ট না আসলে ডেথ সার্থিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। আর ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দেহ সৎকার করা যাবে না। আদৌ ওই বৃদ্ধা করোনার কারণে মারা গেছেন কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।
বর্ধমানের সালানপুরের এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ পরিষেবার নগ্ন্রুপ ফুটে উঠেছে। মৃতার ছেলে নিজধন বাউড়ি জানান, পাঁচদিন আগে মা (৬০) মারা গেছে। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে আমরা এখনো মায়ের দেহ সৎকার করতে পারিনি।
নিজধন বাউড়ি বলেন, ‘গত ৬মে জ্বর হয়েছিল মায়ের। এরপর ৯মে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর সাথে ছিল গলা ব্যাথা ও বমি। অসুস্থ মাকে নিয়ে আমি স্থানীয় পিঠাইকেয়ারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেছিলাম। সেখানে চিকিৎসকের সন্দেহ হলে আমাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।”
উনি জানান, ডাক্তারের পরামর্শ মতো আমি মাকে হাসপাতালে নিয়ে রওনা দিই। রাস্তায় খুব সমস্যা হচ্ছিল মায়ের। হাসপাতালে পৌঁছে ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার মাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। এরপর উনি বলেন, মৃত্যুর কারণ খুঁজে পেটে মায়ের শরীরের ময়না-তদন্তের নির্দেশ দেন ডাক্তার। কিন্তু পড়ে শোনা যায়, এখন ময়না-তদন্ত করা হবে না। আগে করোনার পরীক্ষা হবে, তারপর ময়না-তদন্ত।
উনি জানান, এরপরই মায়ের দেহের ময়না-তদন্ত থামিয়ে লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কলকাতার গবেষণা কেন্দ্রে। কিন্তু পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও এখনো রিপোর্ট আসেনি। আর আমিও মায়ের দেহ সৎকার করতে পারছি না।