বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে চতুর্থ দফার লকডাউনে কি কি ছাড় থাকবে? জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, এবার রাজ্য গুলোই লকডাউনে ছাড় নিয়ে ঘোষণা করতে পারবে। সেই অনুসারে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে লকডাউনের নিয়ম বানাচ্ছেন। সেই অনুসারে আজ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যে ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছেন। দেখে নিন এই চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্যের কবে থেকে কি কি ছাড় পাওয়া যাবে?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানিয়ে দেন যে, কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সবকিছু খোলা হবে। কনটেনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। A,B, আর C। এ হল সংক্রমিত এলাকা। বি বাফার এলাকা। আর সি হল ক্লিন এলাকা। এ এলাকায় সবকিছু বন্ধ থাকবে। বি এলাকায় কিছু জিনিষ খোলা থাকবে। আর সি এলাকায় সব স্বাভাবিক থাকবে।
- রাজ্যের সমস্ত ছোট, বড় শিল্প চালু করা হবে। এবার ৩৩ শতাংশের জায়গায় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে।
- আগামী ২১ মে থেকে রাজ্যের সমস্ত দোকান খোলা হবে। তবে দোকানদার আর কর্মীদের গ্লাভস এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
- সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা হবে। কিন্তু চুল, দাড়ি কাটার পর কাচি স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
- বেসরকারি অফিস খোলা যাবে, তবে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে হবে সামাজিক দুরত্ব মেনে।
- শপিং মল খোলা যাবে না, তবে মলের মধ্যে কোন অফিস থাকলে সেটি খোলা যাবে।
- ২১ মে থেকে ‘এ” মার্ক কনটেনমেন্ট জোন বাদে সরকারি এবং বেসরকারি বাস সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পারবে।
- দর্শক ছাড়াই মাঠে খেলাধুলা করা যাবে।
- ২৭ মে থেকে মাত্র দুজন যাত্রী নিয়ে অটো চালানো যাবে।
- ২৭ মে থেকে অড-ইভেন পাসের ব্যবস্থা করবে পুলিশ। ওই পাসেই দেওয়া থাকবে নাম্বার। সেই নাম্বার অনুযায়ী জোড়বিজোড় ভাবে হকাররা দোকান খুলতে পারবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, নিয়ম শিথিল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের সবাইকে কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। রাস্তা ঘাটে বের হলে মাস্ক পড়তেই হবে এবং দোকান খুলছে বলে অযথা দোকানে ভিড় জমানো যাবে না। ধীরে সুস্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।