আমফান ইস্যুতে রাজ্যপালের টুইটকে নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফানের (Amphan)  তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাংলা। সেখানে দুঃখপ্রকাশের পরিবর্তে চমকপ্রদ টুইট তাঁকে আলোচনার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। এ কেমন বার্তা রাজ্যপালের! ফলস্বরূপ তাঁকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1263330464997097472

 

বাংলার রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই রাজ্য- রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছে। বরাবর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তবে এবার পালা ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan)। বুধবার ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের চাল উড়েছে বহু মানুষের। মাথা গোঁজার আশ্রয় বলতে কেবলমাত্র ত্রাণ শিবির। ভেঙে পড়েছ একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু রাজ্যের এই সঙ্গীন পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখপ্রকাশের পরিবর্তে তাঁর টুইট দেখে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির যোদ্ধারা আক্রমণ শানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, “আমফানের প্রকোপে যে প্রাণহানি ঘটেছে বা সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে তার জন্যে আমি মর্মাহত। আমি গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত বিভিন্ন এজেন্সির সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছিলাম। তাদের দায়িত্ববোধ ফলে ন্যুনতম ক্ষতি হয়েছে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1263426311172718593

 

এরপরই শুরু আক্রমণের পালা। রাজ্যের শাসক বিরোধী শিবিরকে সমর্থন করার জন্য এর আগে অনেকবারই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে রকমারি আখ্যাও দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবারের টুইট মাত্রা ছাড়াল সেই সব কিছুর। রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল-বাম-সহ সাধারণ মানুষও।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1263373455564701696

তবে নিন্দার মুখে পড়ে পুরোনো টুইটগুলির সঙ্গে নতুন টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। নয়া টুইটে তিনি লেখেন, “সুপার সাইক্লোন আমফান ব্যাপক ও অভূতপূর্ব ক্ষতি করেছে। অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছেন মানুষজন। NGOগুলি সমেত সকলকে অনুরোধ করছি রিলিফের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে।” আরেকটি টুইটে তিনি লেখেন, “মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে যোগাযোগে আছি যাতে স্বাভাবিক পরিষেবা আবার শুরু করা যায়।”

IMG 20200521 135104

বাংলার রাজ্যপাল হয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যে ভুল ভাষার প্রয়োগ তিনি করেছেন তাঁর মাশুল গুনতে নতুন টুইট করলেও সমালোচনার ঝড় অব্যাহত রয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। তবে বাংলা ভাষা যে বেজায় কঠিন তা বোধহয় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মাননীয় রাজ্যপাল।

সম্পর্কিত খবর