বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant workers)। ঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে গিয়ে বর্তমানে আটকা পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। গৃহহীনা, কর্মহীনা হয়ে তারা খাদ্যাভাবে এবং অর্থাভাবে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে
বাড়ি ফেরার তাড়নায় বহু পরিযায়ী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটেই ফেরার পথ বেছেও নিয়েছিলেন। এই অবস্থায় তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে। ফিরিয়েও আনা হয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে। ট্রেনে করে ফিরিয়ে এনে, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বাসেরও। ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরান নিয়ে সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যাতে করে বড় প্রশ্নের মুখোমুখী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠেন শ্রমিকরা
এমনই কিছু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার আশা নিয়ে গত ২১ শে মে মুম্বইয়ের (Mumbai) ভাসাই স্টেশন থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চেপে বসে। তাঁদের গন্তব্যস্থল ছিল উত্তরপ্রদেশের গোরাখপুর (Gorakhpur)। বাড়ি ফেরার আনন্দে তারা উদগ্রীব ছিলেন। করোনা সংকটের মধ্যেও পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করার আনন্দে বিভোর ছিলেন তারা।
রাস্তা বদল করল ট্রেন
স্টেশনে ট্রেন থামতেই, শ্রমিকরা মুখে হাসি নিয়ে ষ্টেশনে নামতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। স্টেশন চিনতে না পেরে বিপাকে পড়েন তারা। এই ট্রেন মুম্বই থেকে ছাড়ার পর গোরক্ষপুর যাওয়ার বদলে পৌছাল ওড়িশার রাউরকেলা স্টেশনে। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা রেলের চালকের উপর চড়াও হলে, উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান কোন সমস্যার কারণে চালক রাস্তা হারিয়ে ফেলেন।
কর্তৃপক্ষ জানাল, চালকের কোন দোষ নেই
ওড়িশায় এখন নতুন করে আটকা পড়লেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা। তারা বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে চালকের কোন ভুল নেই। তাঁকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তিনি তেমনই যাত্রা করেছন। তবে যাত্রীদের না জানিয়ে কেন এই রাস্তা বদল করা হল, তা নিয়ে এখন উঠছে নানান প্রশ্ন।