বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফান পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড এলাকায় জল এবং বিদ্যুতের সংকটের কারণে রাস্তা অবরোধের ফলে, মাঝপথ থেকেই ফিরে যেতে হলেন তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও কোন কাজ করল না।
আমফানের পরবর্তী অবস্থা
প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছে বাংলার বহু অঞ্চল। কারো বাড়ির চাল উরে গেছে, তো আবার গাছ উপড়ে কারো বাড়ি ভেঙ্গে গেছে, আবার ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বর্ষণের ফলে কারো বাড়ি রয়েছে জলমগ্ন। এই অবস্থায় জল এবং বিদ্যুৎ সংকটে রয়েছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় দেখাচ্ছে বিক্ষোভও।
আমফান বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী
এই অবস্থায় শনিবার দুপুরে আকাশপথে আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেখানে গিয়ে তাঁদের পরিস্থিতি ঠিক স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ দিয়েছিলেন। পথ অবরোধ করে বিদ্যুতকর্মীদের কাজের ব্যাখাত না ঘটিয়ে অবরোধ তুলে তাঁদের সহায়তা করার অনুরোধ ও করেছিলেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে এই বিষয়ে জেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিকদের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে গেল সাংসদের গাড়ি
বৈঠকে আর সকলে উপস্থিত হতে পারলেও, পৌঁছোতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠাকুরপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় অবরোধের জেরে রাস্তায় আটকা পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। পুলিশের শত অনুরোধেও জল এবং বিদ্যুতের জেরে করা পথ অবরোধ তুলে নিতে রাজী হল না স্থানীয়রা। বাধ্য হয়েই মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হল সাংসদের গাড়িকে।
সাংসদকে ছাড়াই শুরু হল বৈঠক
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে টানা তিনদিন ধরে জল, বিদ্যুত্ না পেয়ে মানুষজন এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে, যার কারণে তারা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের আবেদনও রাখতে নারাজ। শেষমেশ সাংসদকে ছাড়াই দুপুর দেড়টার পর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বললেন, ‘রাস্তা অবরোধের কারণে অভিষেকের গাড়ি আটকা পড়ে যায়। তাই ও আসতে পারেনি আসতে পারেনি। তাই আমিই ওকে ফিরে যেতে বললাম। ওর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাকে জানিয়েছে’।