ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে ফিল্ম সেট ভাঙচুর করল হিন্দুত্ববাদীরা, কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিল কেরল সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুটিং সেটের আদল নিয়ে ঘটে বিপত্তি। তাঁর জেরেই ভাঙচুর করা হয় কেরলের (Kerala) পেরিয়ার নদীর তীরে বানানো ফিল্ম সেট (Shooting set)। ছবির প্রয়োজনে গির্জার আদলে তৈরি ফিল্ম সেট আক্রোশের বশে ভেঙ্গে দেয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ঘটনার জেরে পেরুওম্বাভুর থানায় দায়ের করা হয় এফআইআরও।

ঘটনার সূত্রপাত
‘মিন্নাল মুরলি’ ছবির জন্য তৈরি হচ্ছিল সেট। ছবির নায়ক হলেন তোভিনো টমাস। কোচির কিছু দূরে পেরিয়ার নদীর তীরে এই সিনেমার সেট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ছবির প্রয়োজনে সেখানকার একটি শিবমন্দিরের সামনে গির্জার আদলে সেট তৈরি করা হয়। যার জেরেই ঘটে বিপত্তি। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ওই সেট তৈরিতে আপত্তি জানালেও, তারা না শোনায় এই কাজ করতে তারা বাধ্য হয়।

jhfgksdf

প্রতিবাদ জানায় মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নও
ঘটনার প্রতিবাদ করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, ”লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সিনেমার কারণে ওই সেট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে শুটিং পিছিয়ে যাওয়ার মাঝেই শুনছি বজরং দল তার সেট ভাঙচুর করে। কেরলে এই ধরণের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মূলক কাজ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। কোন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বেড়েও উঠতে দেওয়া যাবে না”।

ঘটনার কথা স্বীকার করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য
অন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ নামে এক দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্য হরি পালোড সর্বপ্রথম এই শুটিং সেট ভাঙচুরের কথা ফেসবুকের মাধ্যমে জানান। হরি পালোডে জানান, “সেট নির্মাণের প্রাথমিক স্তর থেকেই বজরং দলের সদস্যরা এই কাজ করতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু তারা সেই নিষেধাজ্ঞা শোনেনি। আমরা কখনই কারও কাছে অনুনয়-বিনয় করতে অভ্যস্ত নই। সেই কারণে আত্মসম্মান বজায় রাখার জন্য আমরা ওই কাঠামো ভেঙ্গে দিয়েছি”।

স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল বলে জানালেন পরিচালকও
‘মিন্নাল মুরলি’ ছবির পরিচালক ব্যাসিল যোসেফ ফেসবুকে জানান, “কী বলব বুঝতে পারছি না। গত দুবছর ধরে ওই সিনেমার শুটিং করছি। এটা আমেদের কাছে স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল। কিন্তু কেউ হয়তো এই বিষয়টাকে পুরো মজা হিসাবে নিয়েছে”।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর