বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) ওষুধে কিছুটা হলেও নির্মূল হতে পারে করোনা ভাইরাস, এমনটা জানালেন ডাঃ জওহর শাহ (Dr. Jawahar Shah)। এক বিশেষ ধরণের ওষুধ প্রয়োগে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে যে কোন রোগ, এমনকি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
হোমিওপ্যাথিতে সারবে করোনা
বিশ্বব্যাপী মহামারী সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশের বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকরা নিয়োজিত রয়েছে। ভারতেও এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন দেশের গবেষকরা। তবে অ্যালাপথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিতেও সারতে পারে এই মারণ রোগ এমনটা জানালেন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইতে হোমিওপ্যাথি অনুশীলনরত ডাঃ জওহর শাহ।
বাড়বে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও
সমগ্র বিশ্বের প্রায় ১০০ জন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি বিশেষ ধরণের ওষুধ আবিষ্কার করেছে, যা মানুষের শরীরে প্রয়োগ করলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিকে 1 এবং সিকে 2 এই ওষুধ প্রয়োগের মানুষের আশেপাশে কোন রোগের আগমন ঘটতে পারবে না।
স্বল্প মূল্যেই পাওয়া যাবে এই ওষুধ
সাইকো নিউরো এন্ডোক্রাইনকে প্রভাবিত করা এই ওষুধটি আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রনালয় দ্বারা প্রমাণিত এই ওষুধে আর্সেনিক অ্যালগাম এবং কর্পূর M1 রয়েছে, যার বিদেশে অনেক চাহিদাও রয়েছে। এই ওষুধের দাম মাত্র ১৫- ২০ টাকা।
ওষুধ গ্রহণের নিয়ম
এই ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স মাত্র ৬ দিনের। প্রথমে মাসে একবার খেতে হবে। প্রথম ভাগে সিকে 1 ওষুধটি টানা তিন দিন তিন বার করে নিতে হবে। এরপর সিকে 2 ওষুধটিকেও পরবর্তী তিন দিনে তিন বার করে নিতে হবে। এইভাবে একমাসে এই ওষুধটির কোর্স মাত্র ৬ দিনেই শেষ হয়ে যাবে।
নিতে পারেন সকলেই
ডাঃ জওহর শাহ জানিয়েছেন, ভারতে বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক এমন মানুষ আছেন, যারা করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কিনা বুঝতে পারেন না। ভাইরাসের রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেতে পেতেই অনেক দেরী হয়ে যায়। সেইসকল করোনা পজেটিভ ব্যাক্তি এই ওষুধটি নিতে পারেন। আবার বিশেষ করে বর্তমানে প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকরাও নিজ রাজ্যে ফিরছে। তারাও এই ওষুধটি নিতে পারেন।
গঠন করা হয়েছে চিকিৎসকদের টাস্কফোর্স দলও
আয়ুশ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথির সাথে যুক্ত ডাক্তারদের মধ্যে থেকে প্রায় ১০ জন চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি। ভারতে সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্রেও একটি দল কাজ করছে।