বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১ জুন থেকে বাংলায় রেল (rail) ও মেট্রো ( kolkata metro) চালাতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সরকার। পাশাপাশি আরো ১৪ দিনের জন্য লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছে বাংলা। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের ও ক্যাবিনেট সচিবের বৈঠকে এই কথাই জানাল বাংলার মুখ্য সচিব।
সোস্যাল ডিস্টেন্স মেনে লোকাল ট্রেন চালানো সহজ কথা নয়৷ পরিসংখ্যান বলছে, একটি বারো বগির লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক যাত্রীবহন ক্ষমতা ১৫০০ জন। কিন্তু অফিস টাইমে যারা লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন, তারা প্রত্যেকেই জানেন আসল সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকে দ্বিগুনের বেশী। এই বিশাল যাত্রীকে নিয়ম মেনে রেল যাত্রা করানোটাই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রেলকর্তাদের।
দূরপাল্লার ট্রেনের থেকেও রেলের কর্তাদের বেশি ভাবাচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন কয়েক কোটি মানুষ ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ বা নিয়মিত ভাবে রেল যাত্রা করেন। হাওড়ায় এই নিত্যযাত্রীর সংখ্যা ১১ লক্ষ এর বেশী। শিয়ালদহে এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১৫ লক্ষ এর গণ্ডিও।
লকডাউনের চতুর্থ দফায় কলকাতা মেট্রো চালানোর কথা জানিয়েছেন মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন মেট্রোয় কঠোর ভাবে মেনে চলা হবে সোস্যাল ডিস্টেন্স।
মেট্রোরেল চলবে খুবই অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে, লকডাউনের আগে যেখানে ৬ লক্ষ যাত্রী বহন করত কলকাতা মেট্রো, তা এই পরিস্থিতিতে কমে হবে ২ লক্ষ। এছাড়া ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর দেহের তাপমাত্রা মাপা হবে। ট্রেনে উঠতে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক। যাত্রীরা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মানতে বাধ্য।
কোনো ভাবেই স্টেশন বা কাউন্টার চত্বরে ভিড় করা চলবে না। বেশ কিছু টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখা হবে। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হবে।