বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোনম ওয়াংচুকের (sonam wangchuk) সুরে সুর মিলিয়ে এবার চিনা পণ্যের (chinese products) ব্যবহার বন্ধ করতে তৎপর হলেন আরশাদ ওয়ারসি (arshad warsi), রণবীর শোরে (ranvir shorey) সহ একাধিক বলি তারকা। থ্রি ইডিয়টসের ফুনসুক ওয়াংড়ু ওরফে সোনম ওয়াংচুকের চিনা পণ্য বয়কটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগেই টিকটক ছেড়েছেন মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দ সোমন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন অন্যরাও।
চিনা পণ্য বয়কটের প্রসঙ্গে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘আমি সমস্ত চিনা পণ্য বর্জন করতে চলেছি। যেহেতু আমাদের জীবনের বেশিরভাগটা জুড়েই চিনা পণ্য তাই প্রথমে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এক সময় সবই চাইনিজ পণ্য মুক্ত হবে।’ চিনা পণ্য বয়কটকে সমর্থন করেছেন রণবীর শোরেও।
Bilkul. Beshaq. #BoycottChina. #CKMKB
— Ranvir Shorey (@RanvirShorey) May 29, 2020
I am consciously going to stop using everything that is Chinese. As they are a part of most of the things we use, it will take time but I know, one day I’ll be Chinese free. You should try it too …
— Arshad Warsi (@ArshadWarsi) May 30, 2020
একই মত টেলি তারকা কাম্যা পাঞ্জাবিরও। তিনি জানিয়েছেন, কোনও চাইনিজ অ্যাপ তিনি ফোনে ব্যবহার করেন না। তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যিক ভাবে যাদেরই চিনা পণ্যের সঙ্গে যোগ আছে তারা যেন এর পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করে। ভারতীয় হিসাবে ভারতীয় পণ্যই ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন কাম্যা।
https://twitter.com/iamkamyapunjabi/status/1266611776143024128?s=19
অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিও শেয়ার করে অতুল কাসবেকার বলেন, ‘ট্রাম্পকে নিয়ে যতই ট্রোল হোক না কেন এটা মানতেই হবে চিন সরকারের বিরোধিতায় তিনি যে সাহস দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বাকি বিশ্বের চিনকে একঘরে করে দেওয়া উচিত।’
You can make all the memes you want about Pres. Trump but you have to admire the guts he’s shown in taking on the Chinese govt.
Fact is they’ve shown no sense of accountability for the pandemic and someone needed to call them out.
Rest of the world should join in isolating them https://t.co/9PL3B9MDmt
— atul kasbekar (@atulkasbekar) May 30, 2020
সম্প্রতি লাদাখ থেকে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন সোনম ওয়াংচুক। সেখানে সমস্ত চিনা জিনিস বর্জনের আহ্বান করেন তিনি। সোনমের কথায়, শুধুমাত্র নিজের চিনা কোম্পানির ফোনই না বরং সব চিনা সফটওয়্যার ব্যবহারই বন্ধ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় আমরা রাতে এই ভেবে ঘুমাতে যাই যে সেনা এর জবাব দেবে। কিন্তু এবার দেশের নাগরিকের পকেটের জোর বেশি কাজে আসবে সেনার বুলেটের থেকে।” বিষয়টা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকার আমাদের জন্য ব্যবসা করে চিনা প্রশাসন। সেই টাকাই উলটে ব্যয় হয় সীমান্তে আমাদের সেনা শেষ করার জন্য।
সোনম আর্জি জানান, যদি আমাদের ১৩০ কোটির দেশ চিনা দ্রব্য বয়কট করে আন্দোলন শুরু করে তাহলে সেটার বিশ্বব্যাপী প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে চিনের অর্থনীতিতেও। ওয়াংচুক আরও বলেন, চিনা দ্রব্য মানে শুধু ফোন বা সফটওয়্যার নয় টিকটকও এর মধ্যেই পড়ে। তিনি নিজে এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর ফোন বর্জন করতে চলেছে বলে জানান সোনম ওয়াংচুক।