বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মানুষের মুখ দেখেই তাঁর ভূত ভবিষ্যৎ বলে দেন দেওরাহ বাবা (Devraha Baba)। সহজ, সরল এবং সাধারণ জীবন যাপন করতেন এই বাবা। বিশ্বের অনেক বড় বড় ব্যক্তিরা তাঁর কাছে আসতেন ভবিষ্যৎ ধারণার জন্য। কিন্তু তাঁর বয়স, সিদ্ধিলাভ ইত্যাদি আজ অন্ধকারেই রয়ে গেছে।
দেওরাহ বাবার বিবরণ
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দেওরিয়া জেলার বাসিন্দা হলেন এই দেওরাহ বাবা। সহজ, সরল ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন তিনি। বয়স, যোগব্যায়াম, ধ্যান, আশীর্বাদ, বরদানের দক্ষতার কারণে মানুষজন তাঁকে সিদ্ধ সাধু বলে মনে করতেন। তাঁর অনুগামীরা মনে করতেন বাবা ২৫০ থেকে ৫০০ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৯৯০ সালের ১৯ শে জুন তাঁর দেহত্যাগের পর তাঁর বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় শোনা গিয়েছিল।
শ্বাস বন্ধ করে প্রায় আধ ঘণ্টা জলের নিচে থাকতেন
শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি জলের উপর দিয়ে হাঁটতে পারতেন। কোথাও যাওয়ার জন্য তিনি কখনই কোন যানবাহনের ব্যবহারও নাকি করতেন না। প্রতি বছর মাঘ মেলার সময় তিনি প্রয়াগে তীর্থ করতে যেতেন। এমনকি যমুনা নদীর তীরে বৃন্দাবনের নদীতে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ করে জলের তলায় থাকতে পারতেন।
আশির্বাদ নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী
কথিত আছে দেশের সংকটের সময় যখন নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হয়েছিলেন, তখন তিনি দেওরাহ বাবার কাছে আশির্বাদ নিতে গেছিলেন। বাবা হাত উঠিয়ে তাঁকে আশির্বাদ দেওয়ার পর, তিনি ফিরে এসে কংগ্রেস পার্টির হয়ে হাত চিহ্ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী ওই হাত চিহ্নের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন।
আশির্বাদ নিয়েছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষজন
বাবা সর্বদা নষ্ট হয়ে যাওয়া হরিণ ছাল পড়তেন। ১৯১১ সালে পঞ্চম জর্জ বাবার সাথে দেখা করার জন্য ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি বাবার সঙ্গে কি বিষয় কথা বলতেন, তা কেউই জানতেন না। এছাড়াও রাজেন্দ্র প্রসাদ, মদন মোহন মালাভিয়া, অটল বিহারী বাজপেয়ী, মুলায়ম সিং যাদব, বীরবাহাদুর সিং, বিন্দেশ্বরী দুবে, জাগ্রনাথ মিশ্র প্রমুখ নেতারাও দেওরাহ বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মহল গ্রামে চার খুটি যুক্ত মাচার উপরেই তাঁর আশ্রম ছিল। ভক্তিরা সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেত।