বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মীরাট পুলিশ প্রায় এক বছর পর মাথা ও হাতবিহীন এক যুবতীর মৃতদেহের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরের বিকম ছাত্র শাকিব, মারাঠিতে অমর নাম নিয়ে তাঁর প্রেম জাল বিস্তার করে। প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে মেয়েটির থেকে ১৫ ভরি গহনা এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
গ্রেপ্তার করে পুলিশ
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা জানা জানি হওয়ার ভয়ে আসামী শাকিব ওই মেয়েটিকে হত্যা করে। হত্যার প্রমাণ লোপাটের জন্য শাকিব ওই মেয়েটিকে খুন করার পর ওর মাথা এবং হাত কেটে আলাদা করে দেয়। এই ঘটনার অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার বিবরণ
২০১৯ সালের এই নৃশংস গণহত্যা কাণ্ডের মামলায় সাকিব, মুসরত, মুস্তাকিম, রেশমা, ইসমত ও আয়ান নামের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত মেয়েটি লুধিয়ানা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিল। স্যোশাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের জেরে প্রেমের সম্পর্কে পৌঁছায় তারা দুজন। তারপর ধীরে ধীরে মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাঁকে কর্নালে নিয়ে বসবাস শুরু করে। মেয়েটি বাড়ি থেকে ১৫ ভরি সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে তাঁর সাথে থাকতে শুরু করে।
নিজের কার্য সিদ্ধি করতে ইদের পরদিন মেয়েটিকে গ্রামে নিয়ে গিয়ে কোল ড্রিঙ্কের মধ্যে ওষুধ মিশিয়ে, খাইয়ে তাঁকে শ্বাস রোধ করে খুন করে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য যুবতীর মাথা এবং হাত কেটে আলাদা করে দেয়। এই নৃশংস হত্যা কান্ড সকলের থেকে গোপন রাখার জন্য মৃত যুবতীয় ফেসবুক প্রোফাইল নিয়মিত আপডেট রাখত শাকিব, যাতে করে ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে যে সে বেঁচে আছে।
পুলিশের সঙ্গে চলে গুলির লড়াই
আসামী শাকিবকে ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই চলতে থাকে। শাকিবের গুলিতে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। এবং পুলিশের পাল্টা তিনটি গুলিতে শাকিবও আহত হয়।