বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে ভারতের (India) লাদাখ সীমান্ত অঞ্চলে চীনের (China) দাদাগিরি, এবং অন্যদিকে ভারত-পাক সীমানায় গুলি বর্ষণ এবং আতঙ্কবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে চাইছে পাকিস্তান। এই সংকটকালীন সময়ে এই দুই সংঘর্ষ সৃষ্টিকারী দেশ আরও এক বড় সমস্যা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবতীর্ণ রয়েছে, যার প্রমাণ বর্তমানে পাওয়া গিয়েছে।
গোপনে সুরক্ষা বাড়াচ্ছে চীন
ভারত, ইরান এবং আফগানিস্তানের চাবাহার পোর্টের দরুণ যখন চীন-পাক গোয়াদার বন্দর গা সংকটে পড়েছে, তখন চীন ওই বন্দরকে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে। বালুচিস্তানে অবস্থিত গোয়াদর বন্দর গায়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে চীন গোপনে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে।
ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট টেকনোলোজির মাধ্যমে
ফোর্বস ম্যাগাজিনের সংবাদ অনুসারে, ভারত মহাসাগরে চীন নিজেদের আধিপত্য আরও শক্তিশালী করতে চলেছে। স্যাটেলাইট টেকনোলোজির মাধ্যমে জানা যায়, বিগত কিছু বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলে বেশ কিছু পরিসর গড়ে তোলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি ছবিতে চীনের কোম্পানির দ্বারা বন্দর গা-কে অধিকারের চিত্র ধরা পড়েছে। এরই সঙ্গে কম্পাউন্ডে বাহন রোধী ব্যবস্থা, সুরক্ষা বিষয়ক ব্যবস্থা এবং উঁচু দেওয়াল দেখা গেছে। আশঙ্কা করা যাচ্ছে ওই অঞ্চলের চীনা সেনারা সশস্ত্র রাইফেল নিয়ে তৈরি আছে।
জোট বেধেছে চীন- পাকিস্তান
পাকিস্তানের এক অঞ্চলে পশ্চিমিভাগে গোয়াদর চীনের লাগোয়া অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে চীন দক্ষিণ এশিয়ার সর্বদিকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারে। ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে চীনের এক নৈসেনিক আড্ডার পরিকল্পনা প্রস্তুতের খবর বাইরে এসেছিল। গভীর সমুদ্রে অবস্থিত সেই বন্দরের মাধ্যমে চীন ভারতের উপর নজরদারি করছিল।
হস্তক্ষেপ করতে চাইছে ইরান থেকে আগত তেলের ভাণ্ডারে
বর্তমানে এই অঞ্চলে চীনের নৌসেনা মোতায়েনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীন প্রথম থেকেই ভারতের দক্ষিণের প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কার হাবানটোটা এবং পূর্বের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বন্দরে আর্থিক সাহায্য দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে রয়েছে। চীন আরও এক ফন্দি করেছে। গোয়াদর বন্দরে আধিপত্য অর্জন করে যখন খুশি ইরান থেকে ভারত আগত তেলের ভাণ্ডারে ইচ্ছে মতো হস্তক্ষেপ করতে পারবে।