বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেরলে নির্মমভাবে গর্ভবতী হস্তিনীর (Pregnant elephant) হত্যার বিষয়ে এবার রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বিঁধল বিজেপি। এই নক্কার জনক হত্যার বিষয়ে রাহুল এখনও কেন চুপ, সেই নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। এই হত্যার বিষয়ে কেরল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চুপ কেন রাহুল গান্ধী?
এই নৃশংস্য হত্যার পরবর্তীতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী কেন নিশ্চুপ রয়েছেন, এবার সেই দিকে নজর দেয় বিজেপি সদস্যরা। সামান্য থেকে সামান্যতর বিষয়েও সরকারের বিরোধীতা করতে থাকা রাহুল গান্ধী আজ কেন এই ঘটনায় নির্বাক দর্শক, সেই নিয়ে নানা প্রশ্নবান ছুঁড়তে থাকে বিজেপি।
ঘটনার বিবরণ
কেরলের সাইলেন্ট ভ্যালি অরণ্যে এক গর্ভবতী হাতি অনাহারে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। কিন্তু নির্মম মানুষজন হাতিটিকে বাজি ভর্তি একটি আনারস খেতে দেয়। অবুঝ হাতিটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আনারাস খাওয়ার সাথে সাথেই বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। ক্ষত বিক্ষত মুখে আহত হাতিটি দৌড়াতে দৌড়াতে ভেলিয়ার নদীতে প্রবেশ করে। গত ২৭ শে মে কিছু মানুষের নিম্ন মানসিকতার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় হাতিটি। সেই থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় হতে থাকে, অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ঝড় উঠতে শুরু করে।
শেষ চেষ্টা করেও ফল মেলে না
শেষ পর্যন্ত হাতিটি প্রাণ পণে চেষ্টা করতে থাকে গর্ভ মধ্যস্থ শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। দীর্ঘক্ষণ জলের মধ্যে ডুবে থাকার কারণে ফুসফুসে অতিরিক্ত জল প্রবেশের কারণে মারা যায় হাতিটি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুসারে আরও জানা যায়, সম্ভবত গত দু সপ্তাহ ধরে অনাহারে ভুগছিল হাতিটি।
অপরাধীরা কঠিন শাস্তি পাবেই
অবলা এই হাতিটির মৃত্যুতে পিনারাই বিজয়ন টুইট করে বলেছেন, “জনগণের ক্রোধ একেবারে নিরর্থক হবে না। আমি আশ্বাস দিচ্ছি ন্যায়বিচার হবেই। অপরাধীরা কঠিন শাস্তি পাবেই। তিন জনকে আমরা নপরে রাখছি এবং সেই সঙ্গে পুলিশ এবং বন্যপ্রাণী দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে”।
খোঁচা দিলেন মেনোকা গান্ধীও
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশুপ্রেমী বিজেপি সাংসদ মেনোকা গান্ধী বলেছেন, দেশের মধ্যে সব থেকে নিষ্ঠুর রাজ্য হল কেরালা। ওখানে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ পশু পাখিদের হত্যা করা হয়। এবার নৃশংস্য ভাবে এক গর্ভবতী হাতিকে হত্যা করা হল। এই ঘটনার তদন্তে কতদূর এগিয়েছে পুলিশ! দোষীরা কি আদৌ শাস্তি পাবে! এই নিয়ে রাহুল গান্ধীকে খোঁচা দিলেন তিনি।