স্বনির্ভর হওয়ার উপর জোর দিচ্ছে যোগী সরকার, বাজার থেকে চাইনিজ প্রোডাক্ট বহিষ্কার করার ইঙ্গিত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনা দ্রব্য বর্জনের দাবিতে এবার মাঠে নামলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চীনা গৌরী-গণেশের চাইনিজ প্রতিমা বাজার থেকে বহিস্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মাতি কথা বোর্ড। আসন্ন দীপাবলিতে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে একটি অনলাইন কর্মশালাও খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশেই তৈরি হবে মূর্তি
এবার প্রতিমা বানানো হবে উত্তরপ্রদেশেই। ভারতীয় কারুকর্ম ও নকশা ইনস্টিটিউট, মহাত্মা গান্ধী পল্লী শিল্পায়ন ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং উত্তর প্রদেশের বিশেষজ্ঞরা মিলিতভাবে মূর্তি নির্মাণের প্রশিক্ষণ দেবে। এবার আর চীন থেকে না, উত্তরপ্রদেশেই প্রস্তুত করা হবে গৌরী- গণেশের মূর্তি।

GOWRI GANESHA Pooja

দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ
বড় বড় টিভি স্ক্রিন বসিয়ে এবং সামাজিক দূরত্ব মান্য করেই শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। কাদা মাটি থেকে কিভাবে জীবন্ত প্রতিমা গড়ে তুলতে হয়, সেসব বিষয়ে শিখিয়ে নেওয়া হবে। মূর্তি বানানোর শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হবে। উন্নতমানের প্যাকিং-এর বিষয়েও জানানো হবে। মহাত্মা গান্ধী পল্লী শিল্পায়ন ইনস্টিটিউটের বিবেক মাসানী গ্যাস চুল্লিগুলির প্রক্রিয়া এবং আগুন জ্বালানোর বিষয়েও ব্যাখ্যা করবেন। চারুকলা ওভাস্কর্য বিশেষজ্ঞের শিক্ষক কে কে শ্রীবাস্তব এবং অমরপাল তাদের দুই অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানাবেন।

টেরাকোটায় দক্ষ কারিগর
রাজ্য স্তরের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ আগামী আগস্ট মাসে গোরক্ষপুরে শুরু করা হবে। গোরক্ষপুরের নির্বাচনের অঞ্চল আওরঙ্গবাদ ও ভাটহাট শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি পোড়ামাটি তৈরিতে অভিক্ষ। এই গ্রামের বহু মানুষ তাদের কাজের দক্ষতার জন্য রাজ্য ও দেশ পর্যায়েও সম্মানিত হয়েছেন। তাদের অসামান্য দক্ষতার কারণে, টেরোকোটাকে গোরক্ষপুরের একটি জেলার একটি পণ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাঁদের কাজের কারণে তারা সর্বত্র সম্মানীয় হন।

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি করা হবে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থাও
মুখ্যমন্ত্রী আরও নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভিত্তিতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের কর্মসংস্থানের জোগান দিতে হবে। পণ্যের মান উন্নত করতে এই শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের তিন ধরণের স্বল্প-মেয়াদী প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তিন দিনের প্রশিক্ষণের ৭৫ টি, সাত দিনের প্রশিক্ষণে ১০ টি এবং ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে ১৫ টি অধিবেশন হবে। এছাড়া ২৭০০ জনকে বিদ্যুৎ চালিত চক দেওয়া হবে। চলতি বছরে প্রায় ১০৫০০ জনকে কর্মসংস্থান দেওয়ার লক্ষ্যে রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অধ্যক্ষ সচিব নবনীত সেহগাল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হল স্বদেশী জিনিসের প্রচার এবং ব্যবহার করা। দীপাবলিতে প্রায় প্রতিটি পরিবারই চাইনিজ গৌরী-গণেশের প্রতিমা কেনেন। চীনা দ্রব্য বর্জন করে দেশীয় জিনিস ব্যবহার করলে, চীনের সঙ্গে টক্কর দেওয়া যাবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর