বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমফান (Amfan) ঝড় চলে গেছে আর শুরু হয়েছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতে সরাসরি নাম জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূলের (All India Trinamool Congress)। আমফান চলে যাওয়ার পরেও কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চলে এখনো বিদ্যুতের দেখা নেই। আরেকদিকে এখনো পর্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় ঠিক মতো সাহায্যও পৌঁছায় নি। আর এরই মধ্যে দুর্নীতির বড়সড় গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এই ঝড় নিয়ে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সরকারি ক্ষতিপূরণে টাকা এসেছে ঠিকই কিন্তু সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা না পেয়ে, পেয়েছে তৃণমূলের নেত্রী। নদিয়া জেলায় বেশ কিছু এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে খবর পেয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন যে, পঞ্চায়েতে টাকা ঢুকলে সেই টাকা নয়ছয় হয়ে যেতে পারে, সেইজন্য উনি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে তাতেও সুরাহা মেলেনি। এবার সেখানেও থাবা বসাচ্ছে তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা।
তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এরকমই দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি সরাসরি বলেছিলেন যে, কেউ টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আপনার থেকে টাকা নিতে আসলে দেবেন না। আর মহুয়া মৈত্রর সেই সতর্কবাণী সত্যি হল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই এই ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো।
শান্তিপুরের বেলগড়িয়া ১, বেলগড়িয়া ২ ও হরিপুর পঞ্চায়েতে সবথেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানান, এলাকা থেকে ২০ জনের নাম পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান দীপক মণ্ডলের স্ত্রীর নাম এবং তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মানুষের না,
এছাড়াও ওই লিস্টে রয়েছে এক বিজেপির সদস্যেরও নাম। গ্রামবাসীরা জানান, তাদের কোন ক্ষতি না হলেও তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গেছে। কিন্তু প্রকৃত যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাঁরা শুন্য হাতে বসে আছে। গ্রামবাসীরা এও জানান যে, যাঁদের পাকাবাড়ি তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও নাম নেই কাঁচা বাড়ি এবং ভাঙাচোরা বাড়ির মালিকদের। এই নিয়রে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছে। তাঁরা এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত এবং তাদের প্রাপ্যের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান।