বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিকিনি (bikini) আর জলভাত, এখন প্রায় সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে। ওই পোশাকটি পরতে বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দিতে এখন আর বুক কাঁপে না কারওরই। এতে ‘সাহসিকতা’ দেখানোর মতোও আর কিছু অবশিষ্ট নেই। কিন্তু এখনকার সময় ভুলে যদি একটু পিছিয়ে যাওয়া যায় পুরনো দিনের বলিউডে (bollywood), তাহলে কিন্তু বিষয়টা অতটাও সহজ হবে না।
সত্তরের সময়ে সিনেমার পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখানোই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সেখানে বিকিনি! ছবির নায়িকা হবে শাড়ি বা নিদেনপক্ষে সালোয়ার কামিজ পরিহিতা, লজ্জাবনতা। স্বল্প পোশাক নৈব নৈব চ। কিন্তু ব্যতিক্রম কি একেবারেই ছিল না? ছিল, সেই সময়েও বড়পর্দায় দেখা মিলেছে ‘বিকিনি বেবস’ দের। রীতিমতো জনপ্রিয় নায়িকারাই ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন বিকিনিতে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বাংলার শর্মিলা ঠাকুর, মুনমুন সেন তেমনই রয়েছে জিনত আমান, পরভিন বাবিও।
শর্মিলা ঠাকুর– পতৌদি বাড়ির গৃহবধূ, বাঙালি এই কন্যা বলিউডে রীতিমতো রাজত্ব করতেন। তিনিই দেখিয়েছিলেন বিকিনি পরেও আভিজাত্য বজায় রাখা সম্ভব।
পরভিন বাবি– বিকিনি পরে পরভিনের সমুদ্রসৈকতে দৌড়ানোর দৃশ্য এখনও গেঁথে রয়েছে সকলের মনে।
মন্দাকিনি– রাম তেরি গঙ্গা মইলি ছবিতে সাদা স্বচ্ছ শাড়িতে ঝরনার নীচে মন্দাকিনির নাচ, এখনও আইকনিক হয়ে রয়েছে। সেই সময় এমন দৃশ্যের জন্য যথেষ্ট সাহসের দরকার ছিল। এছাড়া একটি ম্যাগাজিন কভারেও রূপোলি বিকিনি পরে পোজ দিয়েছিলেন মন্দাকিনি।
মুনমুন সেন– একে তো তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা। তার ওপর কনভেন্টে পড়া, সাহেবি আদব কায়দায় মুনমুনের আভিজাত্য চিরদিনই অন্যরকম। তবে শুধুমাত্র কথায় নয়, পর্দায়ও একইরকম বোল্ড ছিলেন মুনমুন সেন।
জিনত আমান– ‘সেনশুয়ালিটি’র আলাদা সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন জিনত আমান। সত্তরের বোল্ড অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
মুমতাজ– অপরাধ ছবিতে কালো বিকিনিতে মুমতাজকে দেখে অনেকেরই হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে গিয়েছিল।
রাখি গুলজার– রাখি গুলজার, অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। করন অর্জুন ছবিতে তাঁর চরিত্রটি আইকনিক হয়ে রয়েছে। সেই রাখিই শর্মিলি ছবির একটি দৃশ্যের জন্য পরেছিলেন কালো বিকিনি।
ডিম্পল কাপাডিয়া– ববি ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার বিকিনি লুক কে ভুলতে পেরেছেন? এখনও বোল্ড অভিনেত্রীদের কথা উঠলে ববির ডিম্পলের উল্লেখ থাকবেই।