বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাঁচ মাসের বেশী সময় ধরে মারন ভাইরাস করোনা সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তাই এই মারণ সংক্রমণ রুখতে স্কুল বাড়িকেও রাজ্য সরকার (State Government)। হাসপাতাল বানাচ্ছে। বাদ দেওয়া হচ্ছে না টুরিস্ট লজও। সেখানেও সারি(SARI, যাঁরা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন)হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
শুক্রবার দীর্ঘ বৈঠক শেষে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নোভেল কোন ভাইরাসের সংক্রমণ। রাজ্যে করোনা রুখতে ১১টি নতুন কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মালদহের মানিকচক মর্ডান স্কুল ভবনে বানানো হচ্ছে ৫০ বেডের লেভেল টু SARI উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য হাসপাতাল। দার্জিলিংয়ের লামাহাটা ত্রিবেণী টুরিস্ট লজে দেড়শো বেডের হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৯টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে করোনা আক্রান্ত এবং SARI উপসর্গ নিয়ে থাকা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। ওই ৬৯টি হাসপাতালে মধ্যে ১৫টি হাসপাতালকে লেভেল টু থেকে লেভেল ৪-এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে SARI উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা চলছিল সেখানে এবার লেভেল-৪ অর্থাৎ করোনার চিকিৎসা হবে। সব মিলিয়ে রাজ্যে বেডসংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি বাড়ানো হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। বর্তমানে গোটা রাজ্যে সর্বমোট বেডের সংখ্যা ৮ হাজার ৭০০ মতো। জেলা এবং মহকুমা স্তরে টেস্টিং সেন্টার বাড়ানো হবে।
→ মালদহের মানিকচকের মর্ডান স্কুল। ৫০ বেডের SARI হাসপাতাল।
→ দার্জিলিংয়ের লামাহাটা ত্রিবেণী টুরিস্ট লজে তৈরি করা হচ্ছে SARI উপসর্গ চিকিৎসার ১৫০ বেডের হাসপাতাল।
→ আলিপুরদুয়ারের তপশীকান্ত আয়ুস হাসপাতালে ১০০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ কল্যাণীর টিবি হাসপাতালকে ৩০০ বেডের SARI উপসর্গ নিয়ে রোগীদের চিকিৎসার হাসপাতাল।
→ রামপুরহাটের মধু মমতা লজ। ১৬০ বেডের SARI উপসর্গ নিয়ে রেগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র হবে।
→ পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী সুপার স্পেশাললিটি হাসপাতালকে ১৫০ বেডের নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
→ কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল। বেড বাড়িয়ে ৬৭০ করা হলা। সেখানে নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে।
→ উত্তর ২৪ পরগনার কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতাল কে সম্পূর্ণরূপে নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেড সংখ্যা ৫০০।
→ মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের খ্রিস্টীয় সেবা সদন এ ১০০ বেডের লেভেল-৪ অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা হাসপাতাল।
→ কোচবিহারের মিশন হাসপাতাল লেভেল-৪ অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের ১১০ বেডের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ শিলিগুড়ির ডিসান হসপিটাল এর লেভেল টু থেকে লেবেল ৪ এ উন্নীত করে সেখানে শুধুমাত্র আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে।
→ উত্তর দিনাজপুরের মিককি মেঘা হাসপাতালকে ৫০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ হাওড়ার লিলুয়ার টি এল জি হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে নোবেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রয়াস আত্রেয়ী হাসপাতাল। ৩০ বেডের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ মুর্শিদাবাদের ওল্ড মাতৃসদন। একশো কুড়ি বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ নদিয়ার গ্লোবাল হাসপাতাল। ১৫০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ নদীয়ার এস এন আর কার্নিভাল হসপিটাল। একশো কুড়ি বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতাল। লেভেল-৪ । অর্থাৎ ১৫০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ হুগলির আরামবাগের ব্লু ভিউ নার্সিংহোম। ৩০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ পশ্চিম বর্ধমানের সনকা হাসপাতাল। চারশো বেডের নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ পূর্ব বর্ধমানের ক্যামরি হাসপাতাল। একশো কুড়ি বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।
→ রামপুরহাটের আর এম ওয়াই এফ হাসপাতাল। ৫০ বেডের নভেল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র।