বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতা, নেত্রীরা। কিছুদিন আগে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছিলেন, পরিযায়ীদের জামাই আদর করতে হবে নাকি? ডিম দিলে, মাছ চাইবে। মাছ দিলে মাংস চাইবে। আবার মাংস দিলে ডিম চাইবে। শতাব্দী রায়ের ওই বয়ানের রেষ কাটতে না কাটতেই আরেক তৃণমূল নেতা পরিযায়ীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন।
বেশ কয়েকদিন আগে হাওড়ার নয়াচক যদুনাথ বিদ্যালয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকেরা খাবারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। আর আজ হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিকপরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। উনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বিরিয়ানি দিতে হবে নাকি?
আরও পড়ুনঃ কোয়ারেন্টিনে জামাই আদর খুঁজছেন নাকি? পরিযায়ীদের একহাতে নিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়
বিধায়ক গুলশান মল্লিক বিজেপির উপর আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি এই ভায়াবহ পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুধু কুৎসা রটাচ্ছে আর মানুষকে ক্ষেপীয়ে তুলছে। উনি বলেন, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই তৃণমূলের নেতা কর্মীরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে। দুঃস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কোয়েরান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা সব তৃণমূল করছে। আর বিজেপি শুধু কুৎসা রটাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বড় খবরঃ তৃণমূলকে ভাঙার বড়সড় পুরস্কার পেতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির এই দাপুটে নেতা
বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করা ছাড়াও তিনি নিজে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের যথা সম্ভব সাহায্য করেছেন, করছেন আর আগামী দিনেও করবেন। উনি বলেন, রাজ্যে এতবড় ঝড় হয়ে গেলো তখনও এই তৃণমূল কর্মীরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করে গেছে।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাল ভিডিওঃ চুল্লু খেয়ে মাতলামি করা তৃণমূল বিধায়ককে উচিৎ শিক্ষা দিলো জনতা
উনি বলেন, আমফানে বিধ্বস্ত পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খাদ্য, ব্রস্ত, বাসস্থানের সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা। আর বিজেপি এই বিপর্যয়ের মাঝে রাজনীতি করে গেছে।