হাসপাতালে শুধু দিল্লীবাসীর চিকিৎসা হবে বলেছিলেন কেজরিলাল, সিধান্ত খারিজ করলেন উপরাজ্যপাল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)  কিছুদিন আগে একটি বৈঠকে বলেছিলেন যে, দিল্লীর হাসপাতালগুলোতে দিল্লীবাসী অর্থাৎ দিল্লীতে যাদের করোনা আক্রান্ত তারাই ভর্তি হতে পারবে। এমনই বিস্ফোরণমূলক মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু দিল্লীর উপরাজ্যপাল এই মন্তব্যকে ঘিরে পালটা আক্রমন করেন।

সোমবার (৮ জুন), উপরাজ্যপাল অনিল বৈজাল দিল্লী সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারী হাসপাতালে চিকিত্সা সম্পর্কে বলেছেন যে,কেবল দিল্লিবাসীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য এএপি সরকারের আদেশ আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। একই সঙ্গে, দিল্লির উপ রাজ্যপাল আইসিএমআর নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

corona 5

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করলেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল (Anil Baijal)। রবিবার করা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বিস্তর রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। কংগ্রেস-বিজেপি; সবপক্ষই কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে দিল্লি সরকারকে।  সেই বিতর্কের মধ্যেই উপ রাজ্যপালের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়; “কোনও রকম বিভাজন ছাড়াই দিল্লির হাসপাতালে সবাই সমান চিকিৎসা পাবেন। দিল্লিবাসী নয়; এই যুক্তি দেখিয়ে কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না।” উপ রাজ্যপালের দপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটা রায়ের উল্লেখ রয়েছে। যেখানে শীর্ষ আদালত বলেছে; স্বাস্থ্যের অধিকার, জীবনের অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সংবিধানে তেমনটাই উল্লেখ।

তাই রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল প্রয়োজনে পরিকাঠামোগত বদল এনে সব রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। এমনটাই স্পষ্ট করেছে সেই বিজ্ঞপ্তি।

outbreak coronavirus world 1024x506px

গলা জ্বালা ও জ্বর নিয়ে সেল্ফ আইসোলেশনে গেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যে তার নমুনা পরীক্ষার সম্ভাবনা। এমনটাই পিটিআই সূত্রে খবর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামি দিনে নির্ধারিত সব বৈঠক বাতিল করেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। রবিবার দুপুর থেকে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন তিনি। তারপর থেকে কারও সঙ্গে দেখা করেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে; রবিবার সকালেই করোনা শয্যা নিয়ে এক দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠক করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই বৈঠকৈ তিনি ঘোষণা করেছিলেন, দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালের করোনা শয্যা শুধুমাত্র রাজ্যবাসীর জন্য। তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার; করোনা শয্যা নিয়ে কালোবাজারি রুখতে নার্সিংহোমগুলোকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারই মুখে মাস্ক পরে প্রকাশ্যে আসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

সম্পর্কিত খবর