বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘পার্লে জি’ (parle-g) এই নামটির সাথে অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এক দশক আগে পর্যন্ত পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের একটা বড় কেরানি সমাজের প্রধান টিফিন ছিল এই বিস্কুট। গত কয়েক বছরে ক্রমশ বাজার থেকে হারিয়ে গেলেও, লকডাউনে আবার গরীব মানুষের প্রধান সহায় হয়ে উঠেছে এই ‘গরীবের বিস্কুট’।
লকডাউনে মানুষের উপার্জন যত সীমিত হয়েছে, ততই তারা ঝুঁকে পড়েছে সস্তার খাবারের দিকে। পার্লে জি একই সাথে যেমন সস্তা, পাশাপাশি পেটও ভরায়। তাই লকডাউনে হু হু করে বেড়েছে পার্লে জি’র বিক্রি। আবার পরিযায়ী শ্রমিক থেকে আমফান দুর্গতদের সাহায্য করতে যে ত্রান বিলি করা হয়েছে, সেখানেও ত্রান দাতাদের প্রথম পছন্দ ছিল এই বিস্কুট।
পার্লে প্রোডাক্টসের সিনিয়র ক্যাটাগরি প্রধান মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, লকডাউনে পার্লে জির বিপুল বিক্রির কারনে সংস্থার বাজারের শেয়ারের দাম সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, গত ৩০ থেকে ৪০ বছরে কখনও এত বৃদ্ধি দেখেনি পার্লে।
শাহ জানান, দক্ষিণ ভারতে সুনামির সময় কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে এবং এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প ও অন্যান্য বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তখন বিক্রি বাড়লেও এতখানি বিক্রি বাড়েনি এই বিস্কুটের। জানা যাচ্ছে, কম করে ৩ কোটি পার্লেজি বিস্কুটের প্যাকেট ত্রান হিসাবে বিলি করা হয়েছে।