বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরপর তিনটি গ্রহণের (eclipse) দ্বিতীয়টি ২১ শে জুন। ঐ দিন এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য এর সাক্ষী হবে কলকাতা (kolkata) সহ পৃথিবীর নানা স্থান। চাঁদের (moon) ছায়ায় ভরদুপুরে অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে চরাচরে। ভারত, চিন, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বহু জায়গা থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ।
জানা যাচ্ছে, ২১শে জুন সূর্যের আংশিক গ্রহণ হবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯.১৫ মিনিটে। ১০.১৭ মিনিটে পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ চলবে। সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে ১২.১০ মিনিটে। ২.০২ মিনিটে পূর্ণ মাত্রার গ্রহণ শেষ হবে। ৩.০৪ মিনিটে সম্পূর্ণ হবে গ্রহণ।
পরপর ৩ টি গ্রহণের দ্বিতীয়টি ২১ জুন। এর আগে ১৯৬২ এমনই পরপর তিনটি গ্রহন হয়েছিল। ৫৮ বছর আগে, পয়লা জুলাই চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল, ৩১ জুলাই একটি সূর্যগ্রহণ এবং ১৫ ই আগস্টে আবার একটি মান্দ্য চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল।
চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায় (কিছু সময়ের জন্য)। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অমাবস্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে শূন্য থেকে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়।
গ্রহণ নিয়ে সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার আছে। ঐ সময়ে খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হয় ইত্যাদি। গ্রহণ দেখাও অনেকের কাছে নিষেধ। সূর্যকে গিলে ফেলা রাহুর ভয়ে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে বলে জ্যোতিষীরা দাবী করেন। কিন্তু আজকের দিনে আমরা যখন পরিষ্কার বুঝতে পারি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ এসে যাওয়ার ফলে গ্রহণ হচ্ছে, তাই নতুন জীবাণুর জন্ম, রশ্মির বেশি প্রভাব ইত্যাদি প্রশ্ন অবান্তর।