বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল, বৃষ্টি হয়েছে দফায় দফায় । এছাড়াও বিক্ষিপ্তভাবে দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে শহরে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে বর্ষার বৃষ্টি। দক্ষিণের থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত বেশি হবে। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। দক্ষিণের দু এক জায়গায় ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আবহাওয়ার খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে বর্ষার জেরে ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
রাজ্যজুড়েই মেঘলা আকাশ। প্রায় সময় মতোই বর্ষা এসে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে (West bengal)। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা অতিক্রম করেছে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কিছু অংশ অতিক্রম করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের বাকি অংশ এবং দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। দক্ষিণবঙ্গের কলকাতায় ১১ জুন বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ। মৌসম ভবনের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কথা জলপাইগুড়িতে ৭ জুন এবং শিলিগুড়িতে ৯ জুন। সে ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে কিছুটা দেরিতে হলেও দক্ষিণবঙ্গে একেবারে সূচি মেনেই বর্ষা। যদিও আবহাওয়া দপ্তর বঙ্গে বর্ষা স্বাভাবিকই দাবি করছে। সাধারণত উত্তরবঙ্গে আগে বর্ষা ঢোকে এবং দক্ষিণবঙ্গে কয়েকদিন পরে। এবছর একই সঙ্গে একই দিনে বর্ষা ঢুকলো উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। যদিও এটা অস্বাভাবিক নয় এরকম আগেও হয়েছে।
কলকাতায় আজ অর্থাত্ শনিবার মূলত মেঘলা আকাশ ও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে কয়েক দফায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। আজ সকালেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বৃষ্টির কারণে শুক্রবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমে যায় । শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আলিপুরে রেকর্ড হয়েছে ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৭ থেকে ৯৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি কোচবিহার আলিপুরদুয়ার এ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতেও। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলা ওড়িশার বাকি অংশে প্রবেশ করবে৷ এছাড়াও মহারাষ্ট্র, মুম্বইয়ে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের আরও কিছু অংশে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এখন অবস্থান করছে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে এটি ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে৷ আগামী কয়েকদিন, অসম, মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিম রাজস্থানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।