বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত (Amitabh Kant) করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কর্ণাটকের (Karnataka) নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। উনি বলেন, ‘প্রতি ১০ লক্ষের কথা বলি তাহলে অন্যান্য মেট্রো শহর গুলোর তুলনায় ব্যাঙ্গালুরু থেকে মামলা অনেক কম সামনে এসেছে। প্রতিটি কনফার্ম কেসের পর সেখানে ৪৭ কন্টাক্ট ট্রেস করা হয়েছে, আর দিল্লীতে এই কন্টাক্ট ট্রেসিং এর হার মাত্র ২.১। শুধু তাই নয়, কর্ণাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণের রোগীরও প্রচুর পরিমাণে করোনা টেস্ট করানো হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে চর্চা শুরু, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে অনুমতি চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কর্ণাটক করোনার সংক্রমণ রোখার জন্য অনেক ভালো কাজ করেছে। শনিবার পর্যন্ত কর্ণাটকে ৬ হাজার ৫১৬ জন রোগী ছিল। আর এই মারক ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনো পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৩ হাজার ৪৪০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। কর্ণাটকে মৃত্যুর হার মাত্র ১.২ শতাংশ।
কর্ণাটকে করোনা রোখার জন্য সবথেকে বেশি সংখ্যার মানুষের কন্টাক্ট ট্রেস করা হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে করোনা টেস্টিং করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর একটি স্টাডি অনুযায়ী, করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষদের সবথেকে বেশি টেস্ট করানো হয়েছে কর্ণাটকে। জানুয়ারি ২২ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ৯৩ জন মানুষের রোজ পরীক্ষা হয়েছে, গোটা দেশে এই সংখ্যা মাত্র ২০।
আরও পড়ুনঃ করোনার সঙ্কটের মধ্যেও মোদী সরকারের নতুন রেকর্ড, লকডাউনে বানিয়ে দেওয়া হল সাড়ে তিন লক্ষ বাড়ি
এই কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার (B. S. Yediyurappa) ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে। এমনকি রাজ্যের বিরোধীরা ওনার প্রশংসা করছেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই ইয়েদুরাপ্পা প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছে। আর এই কারণে কর্ণাটকে কড়া ভাবে লকডাউন পালন হয়েছে। প্রথম দিন থেকে করোনা নিয়ে সমস্ত তথ্য জনতা আর মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। শুরু তাই নয়, উনি বিরোধী দল কংগ্রেস আর জেডিএস এর সাথে করোনা নিয়ে অনেক মিটিং করেছেন। করোনার সমস্যা সমাধান করার জন্য ইয়েদুরাপ্পা রোজই নানান বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছেন।