বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জীবনে যেন নদীর মত, কখনও আসে জোয়ার আবার কখনও ভাটা। এমনই এক চিত্র ফুটে উঠল কেরালায় (Kerala)। কখন, কার সময় বদলে যায়, কিছুই বলা যায় না। করোনার কারনে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর তাতে দৈনিক মজুরি শ্রমিকদের সামনে কর্মসংস্থান এবং ক্ষুধার সংকট দেখা দিয়েছে। এই মহামারীটি অনেক ভাল সংখ্যক মানুষের জীবনকেও বদলে দিয়েছে। করোনার সময়কালে ভারত-সহ সারা বিশ্বের মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। কেরালার পালেরী মেঠাল বাবু তাদের মধ্যে একজন।
জানা গিয়েছে, তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি স্কুলে বাচ্চাদের ইংরেজি পড়াতেন। কিন্তু যখন তাঁর স্কুলটি লকডাউনে বন্ধ হল, তখন তিনি রাস্তায় নামেন অর্থের জন্য। এখন পরিস্থিতিতে তার সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠল। তারা বাড়ি চালানোর জন্য কাজ করতে বাধ্য হল। কারণ, তিনি বাড়ি তৈরির জন্য গৃহলোন নিয়েছেন। আবার শিশুদের পড়াশোনার ব্যয়ভার। টানতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার এক ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। আরেকটি ছোট ছেলে একাদশের ছাত্র। এমন পরিস্থিতিতে তার অর্থের দরকার ছিল। তাই তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে হাত লাগালেন। মাথায় কাদা বহন করা শুরু করলেন।
পালেরীর বয়স ৫৫ বছর এবং তিনি ভাদাকারা সমান্তরাল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি পড়াতেন। প্যালেরি বলেছেন, তাদের স্কুল এখন কখন খুলবে তা তারা জানে না, তবে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছিল। সুতরাং, তারা মে মাস থেকে একটি নির্মাণ সাইটে যাচ্ছেন। সেখান থেকে তারা দৈনিক মজুরি হিসাবে ৭৫০ টাকা পান। আর সেটি দিয়েই সংসার চলাচ্ছেন।