বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাদাখে (Ladakh) ভারত-চীন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তৃণমূল সাংসদ ট্যুইট করে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠকে দাবি করেছেন যে লাদাখে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকেনি চীনের সেনা, ভারতের এক ইঞ্চিও জমি নেয়নি তাঁরা। তাহলে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা কেন? কেনই বা এত ভারতীয় সেনার মৃত্যু?” আপনাদের জানিয়ে দিই, গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনা অনুপ্রবেশ করেনি, আর না তাঁরা ভারতের কোন জমি দখল করেছে।
PM says no intruders, no occupation in Galwan at All Party meeting
If nothing happened am confused as to why then the “de-escalation” mission? why the military & diplomatic engagement? Why the deaths?
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 20, 2020
যদিও এখনো পর্যন্ত চীনের তরফ থেকেও এরকম কিছু বলা হয়নি যে, তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল অথবা তাদের তরফ থেকে ভারতের কোন জমি দখল করা হয়েছে। উপরন্তু তাঁরা এটা বলছে যে, ভারতই বেশ কয়েকবার চীনের সীমা অতিক্রম করেছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে চীনের এই অভিযোগ খারি করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমরা শান্তি চাই, কিন্তু কেউ যদি এই শান্তি ভঙ্গ করতে আসে তাহলে তাদের যোগ্য জবাব কীভাবে দিতে হয় সেটাও জানি আমরা।
Last time this happened in span of 1 week?
1. 20 deaths along LAC during a “de-escalation” mission
2. Friendliest neighbour unilaterally amends political map w/o talks
3. Indian deaths on 3 borders -China, Pak, NepalAnti-national to ask why.
Sedition to ask how— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 17, 2020
যদিও এটাই প্রথম না যে লাদাখ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কদিন আগে তিনি আরেকটি ট্যুইট করে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে, ২০১৯ এ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল। আর এবার লাদাখে ভারত – চীন সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে আর আমাদের জওয়ান মারা যাচ্ছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখনো চুপ।
আরেকদিকে, গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে শামিল হয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এই কঠিন সময়ে ভারত সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি চীনের উপর আক্রমণ করে বলছেন যে, চীন একটি অগণতান্ত্রিক দল, ওই দেশের সরকার যা ইচ্ছে তাই করে। ওঁরা স্বৈরাচারী। তবে এবার চীনের বিরুদ্ধে ভারত জিতবে। উনি এই কঠিন সময়ে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন এবং দেশ থেকে চীনের সামগ্রী বহিষ্কার করারও কথা বলেন।