বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) পাকিস্তানের ন্যশানাল অ্যাসেম্বলিতে বৈশ্বিক জঙ্গি তথা আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে (Osama Bin Laden) শহীদের তকমা দিলেন। ইমরান খান পাকিস্তানের সংসদে আমেরিকাকে নিয়ে বয়ান দিচ্ছিলেন, আর তখন তিনি বলেন, ‘আমেরিকা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ করে দেয়।” ইমরান খান এও বলেন যে, পাকিস্তান জঙ্গি বিরোধী লড়াইয়ে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শুধু তিরস্কার সহ্য করছে।
ইমরান খানের ওই ভিডিও (Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ভাইরাল (Viral) হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা জঙ্গি বিরোধী লড়াইয়ে ওদের সহযোগিতা করেছি। এরপরেও আমাদের দেশকে তিরস্কার সহ্য করতে হচ্ছে।” ইমরান খান বলেন, ‘আমি এটা বুঝিনা যে, কোন দেশ যদি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করে তাহলে তাদের তিরস্কার কেন সহ্য করতে হয়? আমাদের কেন খারাপ বলা হবে।” আমেরিকার প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ওঁরা আফগানিস্তানে সফল না হলেও পাকিস্তানকেই দায়ি করে।
#WATCH America came inside Pakistan and killed and martyred Osama Bin Laden. After which all the countries cursed us. Pakistan has faced humiliation for many years in war on terror, says Pak PM Imran Khan in National Assembly (Video Source: Pak media) pic.twitter.com/LbfmKDAs6a
— ANI (@ANI) June 25, 2020
ইমরান খান আরও বলেন, ‘পাকিস্তানিদের জন্য এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। একদিকে আমেরিকা আমদের দেশে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ করে দেয়। এরপর গোটা বিশ্ব আমাদের গালিগালাজ করে, আমাদের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করে।” ইমরান বলেন, আমাদের সহযোগিতায় আমাদের দেশে ঢুকে কাউকে মেরে চলে যাচ্ছে, আর আমাদেরই বলছে না। ইমরান বলেন, ‘ওঁদের যুদ্ধের জন্য ৭০ হাজার জন মারা গেছে। যেই পাকিস্তানি দেশের বাইরে ছিল, তাদের তিরস্কার সহ্য করতে হয়েছে।” ইমরান আরও বলেন, পাকিস্তানে ড্রোন হামলা হচ্ছিল, আর সেটা পাকিস্তানের প্রাক্তন সরকারের অনুমতিতেই হচ্ছিল।
জানিয়ে দিই, জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে পাকিস্তানকে ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বুধবার ধূসর তালিকায় ফেলে দেয়। আরেকদিকে আমেরিকার একটি রিপোর্টে সামনে এসেছে যে, পাকিস্তান জইশ-ই-মোহম্মদ আর হিজবুল মুজাহিদ্দিনের জঙ্গিদের জন্য আশ্রয়দাতা হিসেবে উঠে এসেছে। আমেরিকা বুধবার জানায়, পাকিস্তান ২০১৯ এ জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য রোখা আর সেই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার পর বড় হামলা রোখার জন্য জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে শুধু নাম নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। আর এরপরেও পাকিস্তান জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে আসছে।