বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গ্রামের মাতৃভূমিতে পড়বে না পা, পিছন ফিরে দেখবে না ভালোবাসার জনকে। নাই বা থাকলো রক্তের সম্পর্ক কিন্তু দেশ মায়ের সেবা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তরতাজা ল্যান্স নায়েক সেলিম খান (২৪)। বাড়ি পাঞ্জাবের (Punjab) পতিয়ালায় সেলিম মর্দানহেড়ি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ভারত-চীন যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন ২০ জন। তার মধ্যে সেলিম একজন। ল্যান্স নায়ক সেলিম খানের মরদেহ বিশেষ সেনা বিমানের মাধ্যমে চণ্ডীগড়ে আনা হয়েছিল। যেখান থেকে এই কাফেলাটিকে রাস্তা দিয়ে তার গ্রামের মর্দানহেড়িতে আনা হয়েছে। শেষবারের মতো ফোনে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক সম্মান দেওয়ার পর সেলিম খানের দেহ গ্রামের কবরস্থানে রাখা হয়। শহীদের মা নাসিমা বেগম, বোন সুলতানা ও বড় ভাই নিয়ামত আলী শহীদ সেলিম খানকে সালাম দিয়ে তাঁদের প্রণাম জানালেন।
পটিয়ালা মিলিটারি স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রতাপ সিং রানাউত শহীদদের কফিনে মোড়ানো তিরঙ্গা পতাকা শহীদের মায়ের হাতে তুলে দেন। এই উপলক্ষে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিগলার একটি সুর বাজালেন এবং জওয়ানরা অস্ত্রটি উল্টে একটি গার্ড অফ অনার প্রদান করে এবং শহীদকে সালাম জানায়।
পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভা মন্ত্রী সাধু সিং ধর্মসোট ও ডিসি কুমার অমিত শহীদদের গ্রামে পৌঁছে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন। ল্যান্স নায়েক সলিম খান ভারত-চীন সীমান্তের নিকট শায়োক নদীর কাছে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার অপারেশন এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন।
শহীদ সেলিম খানের বড় ভাই নিয়ামত আলী বলেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে শিউক নদীতে একটি ট্র্যাঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কিত উদ্ধার করে। এদিকে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সেলিম খান শহিদ হন। সেলিম খান জন্মগ্রহণ করেছেন ১৪ ই জানুয়ারী ১৯৯৬ সালে এবং তিনি ফেব্রুয়ারী ২০১৪ এ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। শহিদের বাবা প্রায় ১৮ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিনিও সেনাবাহিনী পদে নিযুক্ত ছিলেন।
শহিদের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। এবং বারবার বলছেন আমার ছেলে দেশের জন্য প্রান দিয়েছে। আম অর জন্য খুব গর্বিত। নসিমা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে তার ছেলের কথা মনে পড়লে চিৎকার করে উঠছেন। তিনি জানান যে তিন মাস আগে তার ছেলে বাড়ি এসেছিল। আমাকে বারবার বলছিল আমার জীবনের সুখ ও এনে দেবে। কেন এমন হল?