বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চিকেন বিরিয়ানী (Chicken Biryani) না আনতে পারলে, তাঁর পরিণাম যে এতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মামাল্লাপুরমের বাসিন্দা মনোহরন। বাড়ির সামনে সদ্য উদ্ভোধন হওয়া বিরিয়ানীর দোকান থেকে চিকেন বিরিয়ানী আনতে বলেছিল স্ত্রী সৌম্যা। কিন্তু চিকেন না পেয়ে প্লেন বিরিয়ানী নিয়ে আসে মনোহরন।
ব্যাস তারপরই ঘনিয়ে আসে সেই অশুভ সময়। রাগে ক্ষোভে ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রী সৌম্যা। এবং নিজেকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখেন। এরপরই করে ফেলেন নিজের চরম সর্বনাশ। গায়ে পেট্রোল ঢেলে ধরিয়ে দেয় আগুন।
চলছিল একটির সাথে একটি চিকেন বিরিয়ানীর ফ্রি অফার
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরমের বাসিন্দা বছর ৩২-র মনোহরন এবং তাঁর ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী সৌম্যা দুজনেই মূর্তি বানানোর কাজ করতেন। তাঁদের ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে ১১ বছরের একটি মেয়ে এবং ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। আনলক ওয়ানে তাঁদের বাড়ির সামনে একটি বিরিয়ানীর দোকান উদ্ভোধন হয়। ওই দোকানে একটির সাথে একটি চিকেন বিরিয়ানীর ফ্রি অফার চলছিল।
প্লেন বিরিয়ানী খেতে নারাজ স্ত্রী
স্ত্রী সৌম্যা স্বামী মনোহরনকে সেই বিরিয়ানী আনতে বলেন। কিন্তু দোকানে পৌঁছাতে দেরী হওয়ায়, চিকেন বিরিয়ানী শেষ হয়ে যায়। অগত্যা চিকেন না পেয়ে প্লেন বিরিয়ানীই নিয়ে আসেন মনোহরন। ভাবেন স্ত্রী খুশিই হবেন। কিন্তু উল্টে রেগে যান স্ত্রী সৌম্যা। প্লেন বিরিয়ানী খেতে রাজী হন না স্ত্রী। বেগতিক দেখে প্রতিবেশীকে সেই বিরিয়ানী দিয়ে দেয় মনোহরন।
করলেন আত্মহত্যা
কিন্তু এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাদের ঘরে উঠে নিজেকে বন্দী করে রাখেন সৌম্যা। তারপর রাগের মাথায় নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রতিবেশীদের সহাওতায় তাঁকে নিকটস্থ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এতোটাই পুড়ে গিয়েছিলেন যে শুক্রবার তিনি মারা যান। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্তের জন্য প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনরকম ঝামেলা হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।