বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা (corona) গ্রাস করেছে। আর এতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হচ্ছে। সরকারিভাবে জানানো মাস্ক (mask) ছাড়া বাইরে বেরোনা যাবে না। আর এই রোগ নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে সকলকে। আপাতত এই বিষয়টা বুঝে গিয়েছেন অনেকে। নিউ নর্মাল জীবনে ধীরেধীরে প্রস্তুত হচ্ছেন সবাই। মাস্ক, গ্লাবসই এখন নিত্যসঙ্গী হয়েছে। তাই তো সেই মাস্কের মধ্যে নানা ডিজাইন করে পরতে পছন্দ করছেন অনেকে। আর তাতেই চাহিদা বাড়ছে ডিজাইনার মাস্কের।ফ্যাশনের অঙ্গ হিসেবে ডিজাইনার মাস্কের কদর বাড়ছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায়।
পুণর্ব্যবহার যোগ্য কাপড়ে নিজের মুখের প্রিন্ট করা মাস্কের চাহিদা সবথেকে বেশি। মাস্কের ওপর থাকছে চওড়া হাসি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ঠোঁট লিপস্টিকে রাঙা। এভাবে যার মাস্ক, তার মুখের ছবি ছাপানো হচ্ছে মাস্কে। মিলছে অর্ডারও। যেমন বায়না দিয়েছেন ৪৬ বছরের হীনী কুসমিজাতি।
যখন আমাদের অন্যরা দেখেন, তখন ভাবেন কেন আমরা এভাবে হাসছি? বলছেন হীনা! জাকার্তায় একটি প্রিন্টিং-এর দোকানে শুরু হয় এই ব্যবসা। করোনার সময় এই ব্যবসাই চলছে রমরমিয়ে।
অনলাইনে নিজের ছবি পোস্ট করে দিচ্ছেন ক্রেতারা। সেখান থেকে সরাসরি প্রিন্ট করা হচ্ছে৷ ৩০ মিনিট লাগছে সময়৷ যার দাম পড়ছে ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। এতেই ব্যবসাও হচ্ছে ভাল। এবং চাহিদাও তুঙ্গে।
প্রথমে আমরাও একটু দ্বিধা করছিলাম৷ তারপর দেখলাম সবাই খুব আগ্রহী। এই মাস্কের ব্যবসাই আমাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়েছে। একইভাবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অনেকে ঝুঁকছে ডিজাইনার মাস্কের দিকে। কোথাও ফিলিপিন্সের শিল্পী বানাচ্ছেন হরর (ভূতুরে) মাস্ক, কোথাও আবার থাই শিল্পী ফেসশিল্ডের ওপর কার্টুন এবং ছবির চরিত্র যুক্ত করেছেন।
বাটিক ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় মলায়েশিয়ায়। যদিও সেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তবুও এই ডিজাইনের মাস্কের অর্ডার পাচ্ছেন শিল্পীরা।