ভারত বিরোধিতা করার জেরে সঙ্কটে ওলি শর্মার কুরসি! ইশারায় বললেন, এতে হাত আছে ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) সাথে সীমান্ত বিবাদ এবং একের পর এক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব খোয়াতে চলেছেন নেপালি (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা (KP Sharma Oli)। একদিকে যেমন ওনাকে পদ থেকে সরানোর জন্য নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে তোরজোড় শুরু হয়েছে। তেমনই আরেকদিকে দেশের জনতার মধ্যেও ওনার প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর এবার দেশের মানুষের নজর ঘোরাতে ওলি উগ্র জাতীয়তাবাদ এর আড়াল নেওয়ার চেষ্টা করছে। উনি নিজের দলের মধ্যে চলা ওনাকে সরানোর তোরজোড় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। উনি বলেছেন এক দূতাবাস আমাকে সরানোর জন্য হোটেলে ষড়যন্ত্র কষছে।

মদন ভাণ্ডারীর ৬৯ তম জন্ম জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেন, ‘আমাকে যতই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর চেষ্টা হোক না কেন, কেউ সফল হতে পারবে না।” উনি এও দাবি করেন যে, কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে ওনাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উনি এও বলেন যে, আর এই ঘটনার পিছনে একটি দেশের দূতাবাস দায়ি। পিএম ওলি নাম না করেই ভারতের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলছেন।

ওলি বলেন, ভারতীয় জমিকে নেপালের নকশায় দেখানোর সংবিধান সংশোধনের পর ওনার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কষা হচ্ছে। উনি বলেন, নেপালের জাতীয়তাবাদ কমজোর। কেউ এটা ভাবছে না যে, এই নকশা ছাপানোর জন্যই আমাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও তিনি এটা উল্লেখ করেন নি যে, অত্যাধিক ভারত বিদ্বেষের থেকে বেশি অত্যাধিক চীন প্রেম এবং চীনের হাতে চুপেচাপে নেপালের ৩৩ হেক্টর জমি তুলে দেওয়ার জন্যই ওনার দলের নেতারা ওনার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকারী চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড” পিএম ওলির সমালোচনা করে ওনার ইস্তফার দাবি করেছেন। দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অধিকতর সদস্য প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফা চেয়েছেন। আরেকদিকে, ওলি ইস্তফা দেবেনা বলে জানিয়েছে। ওলি আর প্রচণ্ড দুই নেতাই বৈঠকের সময় একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী ওলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি উনি ইস্তফা না দেন তাহলে তিনি দল ভঙ্গ করে দেবেন।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর