বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘূর্ণাবর্ত এর জেরে অবশেষে শহর কলকাতা ও দক্ষিণ এর জেলা গুলিতে অবশেষে নেমেছে বর্ষা। উত্তরের জেলাগুলিতে আরো ভয়ংকর হচ্ছে বর্ষা। আগামী ২৪ ঘন্টায় কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে দেখে নিন এক নজরে
বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা (Kolkata) শহরের আকাশ মেঘলা। বিগত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চালু হয়েছে, জারী থাকবেও। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি সেই সঙ্গে মেঘলা আকাশের সম্ভাবনার কথা জানাল আবহাওয়াবিদরা।
আজ আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। পাশাপাশি আরও জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। অর্থাৎ উত্তরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পঙের পাশাপাশি দক্ষিণেও বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ।
ভূটান সহ উত্তরে অতি ভারী বৃষ্টির কারনে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এবার আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। যার জেরে যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বইতে পারে উত্তরের নদীগুলি।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরের ৫ জেলায়। হিমালয়ের পাদদেশ দিয়ে মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের কারনেই এবছর অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।
পাহাড়ে এই অতিভারী বৃষ্টির কারনে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্লাবন এর আশঙ্কা করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে চলেছে নদীগুলি। পাশাপাশি অতি বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে ভূমিধস।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জুন মাসে বৃষ্টি ভেঙে দিল গত এক যুগের রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ১২ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান বাদ দিলে দেশে কোথাও বৃষ্টির ঘাটতি নেই৷ পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারনে বাংলা, বিহার ও আসামের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’