বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দুর্নীতিগ্রস্থদের তৃণমূল (All India Trinamool Congress) দলে কোন জায়গা হবে না। আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে কোন রকম দুর্নীতি সহ্য করবে না দল তৃণমূল। বিরোধীদের কাছ থেকে আসা আমফান দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে চলছিল ধরপাকড়। সেই তালিকায় প্রথমেই শোকজ করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন হাওড়ার তৃণমূল নেতাকেও।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেওয়া হল যোগ্য শাস্তি
এবার এই আমফান দুর্নীতির অভিযোগে শোকজ পর্ব পার করে সরাসরি দিল থেকে সাসপেন্ড করা হল হাওড়ার তিন সবুজ নেতাকে। আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই দল থেকে বহিস্কার করা হল তাঁদের।
হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর শোকজ করা হয়েছিল দলীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে। শোকজ পর্ব পার করে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়ন্ত ঘোষ, পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু ও উত্তর ঝাপরদহের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ থাকায় অবিলম্বে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
মান্য করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
দলীয় তিন নেতাকে বহিস্কারের পাশাপাশি শোকজ করা হয়েছে বড়গাছিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা এবং জগৎবল্লভপুর একনম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকেও। এদিন অরূপ রায় আরও জানালেন, ‘রাজ্যে আমফান দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশ মতো অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে। তবে সাসপেন্ড করা হয়েছে’।
এছাড়াও হাওড়ার আরও ৩০ জন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ খতিয়ে দেখে শোকজের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের থেকে কোন উত্তর না পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন অরূপ বাবু।